আমরা অনেকেই জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার পরে দেখতে পাই যে আমাদের এনআইডি কার্ডে ভুল রয়েছে। তাই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম টা জানে আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন।
কেননা আমরা কম বেশি সকলেই জানি জাতীয় পরিচয় পত্র আপনার নাগরিকত্বের পরিচয় দিবে। আপনার কাছে যদি এন আইডি কার্ড না থাকে তাহলে আপনি অনেক সরকারি সেবা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কষ্ট পাবেন।
বিদেশ গমন, পাসপোর্ট ভিসা পেতেও কেউ লাগে এখন এনআইডি কার্ড। যদিও বা পাসপোর্ট ২০ বছর বয়সের আগে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে করা যায়। তো আপনার আইডি কার্ড টা যদি যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই ভুলগুলো সংশোধন করা দরকার।
তবে আপনি নির্দিষ্ট একটা প্রসেস এবং নিয়মের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারবেন। নিয়মটা হয়তো অনেকেই জানেন না, বিস্তারিত জানতে চাইলে পড়ুন, আজকের নিবন্ধনটি অনেক উপকারে আসবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে services nidw gov bd ওয়েবসাইটে একটা একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। আপনার সংশোধনের ধরন বাছাই করে সংশোধনী তত্ত্ব দিন এবং ফি পরিশোধ করে ডকুমেন্টস আপলোড করুন। পরবর্তীতে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করে ফেলুন।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন রিলেটেড যে কোন প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটা ফেলুন। কেননা এখানে আমি NID card correction রিলেটেড সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমরা অনেকেই আমাদের এনআইডি কার্ডের নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম কিংবা ঠিকানা ইত্যাদি সংশোধন করতে চায়। তো কিভাবে করতে হয় এ বিষয়টা অনেকেই জানে না, যার কারণে অনেকেই প্রশ্ন করে জাতীয় পরিচয় পত্র কি অনলাইনে সংশোধন করা যায়?
এর উত্তর আমি বলবো অবশ্যই হ্যাঁ। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট একটা প্রসেস কিংবা নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। এক পর্যায়ে গিয়ে আপনার অনলাইন সংশোধন আবেদন গ্রহণযোগ্য হলেই আপনার আইডি কার্ড পুনরায় সংশোধিত ডাউনলোড করতে পারবেন।
তবে অনেকেই আছেন যারা স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়েছেন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনে আবেদন করার পরে। তারপরেও দেখা যায় যে, স্মার্ট কার্ডের মধ্যে আগের ভুল যেটি ছিল সেটা এখনো আছে। মূলত এর কারণ হচ্ছে আপনার সংশোধনের আবেদনের আগেই আপনার স্মার্ট কার্ড টা প্রিন্ট হয়ে গেছে।
এর কারণেই মূলত আপনার সংশোধনের আবেদনের পরেও স্মার্ট কার্ড যেটি পেয়েছেন সেখানে ভুল রয়েছে। তো আপনি যদি সম্পূর্ণ প্রসেস টা জানতে চান তাহলে আজকের ব্লগটা অবশ্যই পুরোপুরি পড়বেন।
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের আবেদনের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার সংশোধিত আইডি কার্ড পেতে পারেন। এর থেকে প্রতিয়মান হয় যে, আপনার এনআইডি কার্ড কারেকশন আবেদনের ১০-১৫ কার্জ দিবসের মধ্যেই এন আইডি কার্ড সংশোধন হয়ে যাবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন কেন প্রয়োজন
আমি মনে করি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পাওয়ার পরে যদি সেখানে ভুল দেখতে পান তাহলে সাথে সাথে সংশোধন করে নেয়া দরকার। কেননা এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, যেটা কিনা আপনার দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার হয়।
আপনার সন্তানের এন আইডি কার্ড করাতেও লাগবে আপনার জন্য সনদ। কিংবা অনেক ক্ষেত্রেই আপনি যদি বিদেশ গমন করতে চান সেখানে ও পাসপোর্ট করাতে লাগবে আপনার এন আইডি কার্ড।
তো এখন আপনার আইডি কার্ডের মধ্যে যদি ভুল থাকে যেমন আপনার নাম, মা-বাবার নাম ইত্যাদি। তাহলে পরবর্তীতে যদি আপনার আইডি কার্ডের সাথে মা-বাবার আইডি কার্ডও লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার মা-বাবার নাম মিল থাকবে না (যেহেতু আপনার আইডি কার্ডের মধ্যে তাদের নাম ভুল)।
এক কথায় বলতে গেলে আপনি যদি আপনার আইডি কার্ড দ্বারা সরকারি সেবা থেকে শুরু করে চাকরি ইত্যাদি পেতে চান তাহলে অবশ্যই সংশোধন করে নেয়া দরকার। না হলে পরবর্তীতে ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে আপনি কষ্ট পাবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে দুই মাস বা ৬০ দিন মতো সময় লাগতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এটা আপনার আবেদনের ধরনের উপর নির্ভর করে ব্যাস কম হতে পারে। তো বিশেষ করে আপনি যদি নির্বাচনের সময় সংশোধনের আবেদন করেন তাহলে সময় একটু বেশি লাগতে পারে।
তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার আইডি কার্ড সংশোধন করার চেষ্টা করুন। আপনার অনলাইন NID correction application অনুমোদন হলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। তবে সঠিক নিয়ম অনুসারে সংশোধনের আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
তাই আপনি যদি এই বিষয়টা খুব ভালোভাবে জানতে চান এবং ভোটার আইডি কার্ড কারেকশন করতে কি কি প্রয়োজন এবং কত টাকা লাগে এই বিষয়টা। তাহলে আজকের এই ব্লগটি আবারও বলছি শেষ পর্যন্ত পড়তে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ২৩০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আপনার ৩৪৫ টাকা লাগতে পারে। তবে এটা নির্ধারণ করবে আপনার সংশোধনের আবেদনের ধরনের উপর। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আমরা মূলত তিন ধরনের করে থাকি-
- ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
- ঠিকানা পরিবর্তন/সংশোধন
- অন্যান্য তথ্য সংশোধন
তাই আপনারা নিচের টেবিলের মধ্যে দেখুন কোন ধরনের আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা প্রয়োজন পড়বে।
সংশোধনের ধরণ | মোট টাকার পরিমান |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন | ২৩০ টাকা |
অন্যান্য তথ্য | ১১৫ টাকা |
উভয় তথ্য সংশোধন | ৩৪৫ টাকা |
আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে, এই নির্ধারিত ফি আপনি চাইলে বিকাশ, নগদ, রকেট কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। চাইলে আপনি বিকাশের মাধ্যমে এনআইডি নাম্বার দিয়ে সংশোধন এর ফি জমা দিতে পারেন।
Nid correction করতে কি কি প্রয়োজন
আপনার এন আইডি কার্ড সংশোধনের উপর নির্ভর করবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কি কি প্রয়োজন এই বিষয়টা। তো আপনি যদি জাতীয় পরিচয় পত্র নাম পরিবর্তন করেন তাহলে কিছু জিনিস লাগবে অন্য দিকে ঠিকানা পরিবর্তন করলে অন্য কিছু।
সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা ই-পাসপোর্ট এর প্রয়োজন। আপনার আইডি কার্ড সংশোধন করতে বেশ ভূমিকা রাখবে এই সমস্ত ডকুমেন্ট।
আর আপনার কাছে যদি এই মৌলিক ডকুমেন্টগুলো না থাকে তাহলে হলফনামা, নাগরিক সনদ আর যদি বিবাহিত হয় তাহলে স্বামী স্ত্রীর নাম ইত্যাদি সংশোধন করতে কাবিননামা প্রয়োজন। তবে আপনারা বিষয়টা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কার্যালয় যোগাযোগ করে জেনে নিবেন।
আর আপনার ঠিকানা পরিবর্তন কিংবা সংশোধন করতে গেলে লাগবে ইউটিলিটি বিল বা বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি। তাছাড়া আপনার রক্তের গ্রুপ দেয়া না থাকলে বা সংশোধন করতে হলে মেডিকেল ব্লাড টেস্টিং রিপোর্ট আপলোড করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য services Nidw gov BD এই ওয়েবসাইটে একটা অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে এবং লগইন করতে হবে। পরবর্তীতে আপনি সংশোধন অপশন এ গিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন করে সাবমিট করুন। তারপর আপনার ফি প্রদান, ডকুমেন্টস আপলোড করলেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয়ে যাবে।
এখন আপনার প্রত্যেকটা বিষয়ে আপনাদের সাথে স্টেপ বাই স্টেপ শেয়ার করার চেষ্টা করব। তো প্রথমে আপনার কি করতে হবে পরবর্তীতে কি করতে হবে কিভাবে ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে সবগুলো।
১. নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে একাউন্ট ক্রিয়েট করুন
সর্বপ্রথম আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার জন্য। মূলত এখানে একাউন্ট ক্রিয়েট করার নিয়মটা আমি আগে একটা আর্টিকেলে দেখিয়েছি। তারপরে আপনাদের সুবিধার্থে নিয়েছি একটা স্টেপ দেওয়া রয়েছে সেটা অবলম্বন করুন।
- বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন এবং ‘রেজিস্ট্রেশন করুন’ বাটনে ক্লিক করুন
- এনআইডি নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা পূরণ করে ‘সাবমিট’ বাটন ক্লিক করুন
- বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানার বিভাগ, জেলা, উপজেলা এইভাবে দিয়ে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন
- আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে ‘বার্তা পাঠান’ এ ক্লিক করুন এবং এসএমএসে আসা কোডটি দিয়ে ‘বহাল’ বাটনে করুন
- NID wallet সফটওয়্যার দ্বারা ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন
- পাসওয়ার্ড সেট করুন বা এড়িয়ে যান বাটন ক্লিক করে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন
এই সিম্পল সাইটে প্রসেস অবলম্বন করা হয়ে গেলে আপনার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে একটা অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে যাবে। তো এনআইডি কারেকশন কিভাবে করতে হয় এই বিষয়টি জানতে নিচের স্টেপ গুলোও ফলো করুন।
২. সংশোধনী তথ্য দিন
এ পর্যায়ে আপনি কোন বিষয়টা সংশোধন করতে চান সেটা সিলেক্ট করে আপনার সংশোধনী তত্ত্ব প্রভাইড করতে হবে। এজন্য সর্বপ্রথম আমার দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে একাউন্ট ক্রিয়েট করুন।
তারপর আপনার সামনে একটা ফেস ওপেন হবে অর্থাৎ আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে। যদি আগে থেকে একাউন্ট ক্রিয়েট করা থাকে তাহলে লগইন করলেই হয়ে যাবে। লগইন করার জন্য আপনার এনআইডি নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন পড়বে।
আমি আগেই আপনাদেরকে বলেছি আমরা সাধারণত তিন ধরনের তথ্য সংশোধন করে থাকি। ‘ব্যক্তিগত তথ্য’ অপরটা হচ্ছে ‘ঠিকানা’ এবং সর্বশেষ ‘অন্যান্য তথ্য’।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
আপনি যদি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য অর্থাৎ নিজের নাম, মা-বাবার নাম, জন্ম তারিখ এবং লিংক ইত্যাদি তাহলে ব্যক্তিগত তথ্য এই অপশনে যান।
অপশনে যাওয়ার পরে ‘এডিট’ নামে একটা বাটন দেখতে পাবেন। এই বাটনে ক্লিক করে আপনার ব্যক্তিগত তত্ত্বের মধ্যে যেটা সংশোধন করতে চান সেটা সিলেক্ট করে আপনার সংশোধনী তত্ত্ব দিন প্রমাণের সাথে মিল রেখে।
সাধারণত ব্যক্তিগত তত্ত্বের মধ্যে নিজের, মা বাবার নাম (বাংলা ইংরেজি), লিঙ্গ, জন্মস্থান, মা-বাবার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার ইত্যাদি সংশোধন করতে হয়।
সুতরাং এই সমস্ত তথ্য সংশোধন করার জন্য ব্যক্তিগত তথ্য এই অপশনে গিয়ে এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। আপনার প্রমানের সাথে মিল রেখে কোনটা সংশোধন করতে চান সেটা সিলেক্ট করে সংশোধনী তথ্য দিন এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ভোটার আইডি কার্ড ঠিকানা সংশোধন
আপনার ভোটার আইডি কার্ডের মধ্যে যদি কোন ঠিকানার মধ্যে ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটাও সংশোধন করতে পারবেন। তার জন্য সংশোধন অপশন থেকে ব্যক্তিগত তত্ত্বের পাশেই ঠিকানা নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।
এই অপশনে গিয়ে আপনার ঠিকানা সিলেক্ট করে আসল ঠিকানা বা সংশোধনী ঠিকানা দিন। এভাবেই বরাবরের মত পরবর্তী বাটন ক্লিক করুন অবশ্যই সবগুলো সঠিক দিয়েছেন কিনা চেক করবেন।
অন্যান্য তথ্য সংশোধন
আপনার এন আইডি কার্ডের যদি অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে চান যেমন মোবাইল নাম্বার, সালসা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি তাহলে আপনি অন্যান্য তথ্য সংশোধন এই অপশনে যাবেন।
এখানে কি আপনার সঠিক যেমন পেশা এসব বিষয় সিলেক্ট করবেন। আপনার সংশোধনী তথ্যটা প্রোভাইড করে বরাবরের মত পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন বা পরবর্তী অপশনে যান।
৩. ফি পরিশোধ করুন
আমিও পরে আপনাদের সাথে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করলে কত টাকা লাগবে এ বিষয়টি শেয়ার করেছি। আর আমি বলেছিলাম সেটা আপনার আবেদনের উপর নির্ভর করবে।
সুতরাং ঠিক সেই ভাবে এখন আপনাকে ফি পরিশোধ করতে হবে, আপনার আবেদনের ধরনের উপর ভিত্তি করে। তবে আপনি এটা চাইলে বিকাশ রকেট কিংবা নগদের মাধ্যমে দিতে পারবেন।
বিকাশ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনীর ফি প্রদানের জন্য নিচের স্টেপটা ফলো করুন।
- আপনার বিকাশ নাম্বার এবং পিন নাম্বার দিয়ে বিকাশ অ্যাপে লগইন করুন
- পে বিল/pay bill অপশনে গিয়ে Nid service শেষ করুন
- আবেদনের ধরন সিলেক্ট করুন এবং নিচে আপনার এন আইডি নাম্বার দিন
- একদম নিচে ‘পে বিল করতে এগিয়ে যান’ বাটন ক্লিক করুন
- আপনার কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে এটা দেখাবে, আর পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকলে পিন দিয়ে ফি পরিশোধ করুন
আর যদি আপনার পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকে সে ক্ষেত্রে বিকাশের মধ্যে টাকা লোড করে নিবেন। পরবর্তীতে খুব তাড়াতাড়ি আপনার পেমেন্ট পরিশোধ করে দিবেন।
৪. ডকুমেন্টস আপলোড করুন
এখন আপনাকে আপনার তথ্য সংশোধনের আবেদন কার্যকর হওয়ার জন্য কিছু ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে। এখানে আপনার অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভরযোগ্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট আর জন্ম সনদ ইত্যাদি।
আর আপনার মা-বাবার কোন তথ্য কিংবা না আমি তাদের সংশোধন করতে চাইলে তাদের এনআইডি কার্ড আপলোড করতে হবে। ঠিকানার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি আপলোড করতে হবে।
এখন এই সম্পূর্ণ প্রসেস অবলম্বন করা হয়ে গেলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করে নিবেন। পরবর্তীতে আপনার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ পরিষেবা কার্যালয় যোগাযোগ করবেন আপনারা আবেদন কপিটি নিয়ে।
আপনার সমস্ত প্রসেস কমপ্লিট হয়ে গেলে পরবর্তীতে সংশোধনী ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তাছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন আপনার এনআইডি সংশোধন হয়েছে কিনা।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে হয় কিভাবে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। পরবর্তীতে আপনি সংশোধন অপশনে গিয়ে অন্যান্য তথ্যের মধ্যে আপনার নাম সিলেক্ট করে সংশোধনী নাম প্রোভাইড করলেই জাতীয় পরিচয়পত্র নাম সংশোধন হয়ে যাবে।
শুধু তাই নয় বরং আপনাকে আর স্টেপ বাই স্টেপ আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন জন্ম সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি সাবমিট করতে হবে।
একদম শেষে আপনার নির্ধারিত ফি’টা প্রদান করেই আপনারে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনী আবেদন অনলাইন প্রশেস কমপ্লিট করতে পারবেন।
সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্র বা এন আইডি কার্ড সংশোধন করতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। তবে অনেক সময় এর থেকে বেশিও হয় বিভিন্ন টেকনিক্যাল সমস্যা বা নির্বাচন ইত্যাদির কারণে। তবে অবশ্যই আপনি যত তাড়াতাড়ি আবেদন করবেন তত তাড়াতাড়ি সংশোধন হয়ে যাবে।
স্মার্ট কার্ড সংশোধন করার জন্য ঠিক একইভাবে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে একটা একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। পরবর্তীতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা কিংবা অন্যান্য তথ্য সিলেক্ট করে আপনার সংশোধনী তথ্য প্রোভাইট করতে পারবেন। আর অবশ্যই নির্ধারিত একটা ফি এবং ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে।
অবশ্যই আপনি অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটা প্রসেস অবলম্বন করতে হবে এবং কিছু রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে।
সংশোধন | জন্ম নিবন্ধন সংশোধন |
status | smart card status check |
application | NID card application |
Registration | NID registration |
nidw | nid correction link visit |