জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আমাদের অনেক সময় করার প্রয়োজন পড়ে। অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার রাত অনেক সময় আমরা দেখতে পাই যে, আমাদের মা বাবার নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদির মধ্যে ভুল রয়েছে। আপনি যদি এগুলো সংশোধন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট একটা প্রসেস অবলম্বন করতে হবে।
তো আপনি যদি birth certificate correction বিষয়টা খুব ভালোভাবে জানতে চান তাহলে আজকের এই নিবন্ধটি আপনার জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমি এখানে মূলত স্টেপ বাই স্টেপ শেয়ার করেছি কিভাবে আমাদের জন্ম নিবন্ধন কোন ভুল হয়ে থাকলে সেটা সংশোধন করব।
বলতে গেলে খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয়। কেননা আপনার জন্ম নিবন্ধনে আপনার মা-বাবার নাম ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই পরবর্তী সমস্যার সম্মুখীন হবে যেমন – আপনার আইডি কার্ড করাতে গিয়েছেন কিন্তু সেখানে আপনার মা-বাবার আইডি কার্ডও প্রয়োজন।
আরো পড়ুন – ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার মা-বাবার আইডি কার্ড এই যে নাম রয়েছে ঠিক সেই নাম আপনার জন্ম নিবন্ধনই থাকতে হবে অন্যথায় গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই আজকে আমি চিন্তা করলাম জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন সম্পর্কিত 2023 সালের যাবতীয় আপডেট শেয়ার করতে কিভাবে কি করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন থেকে জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে ১০০ টাকা লাগবে আর যদি অন্যান্য তথ্য যেমন মা বাবার নাম ইত্যাদি সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে ৫০ টাকা লাগবে। এক কথায় বলতে গেলে আপনার সংশোধনের ফি সেটা নির্ভর করবে আপনার সংশোধনের ধরনের উপর।
যেহেতু জন্ম নিবন্ধন করার পরে এটা অন্য দ্বিতীয় কাজ তাই আপনাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটা এমাউন্ট পেমেন্ট করতে হবে বাংলাদেশ bdris কর্তৃক। আর কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে এটা জানার আগ্রহ অনেকেরই থাকে সুতরাং এই বিষয়টা আরো সহজ করে তুলতে নিচে একটা table দেওয়া হল।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ধরন | টাকা |
---|---|
জন্ম তারিখ সংশোধন | ১০০ |
জন্ম নিবন্ধনের অন্যান্য তথ্য সংশোধন (পিতা মাতার নাম) | ৫০ |
আশা করি আপনি খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন কত টাকা লাগবে যদি আপনার কোন তথ্য ভুল হয়ে জন্ম নিবন্ধন এর মধ্যে সেটা সংশোধন করতে কত টাকা লাগবে। তো চলুন এখন আমরা স্টেপ বাই স্টেপ আরো বিভিন্ন ইনফরমেশন আপনাদের সাথে শেয়ার করি এবং জানি।
birth certificate correction করতে যা যা প্রয়োজন
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে চাইলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, একাডেমিক সার্টিফিকেট, কাউন্সিল বা চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন পত্র, হসপিটাল সার্টিফিকেট, এবং ঠিকানা সংশোধনের ক্ষেত্রে খাজনা/ফোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রিসিট অথবা চাইলে আপনি ইউটিলিটি বিল এর কপি প্রদান করতে পারেন কিংবা প্রয়োজন।
আরো পড়ুন –ভোটার তথ্য যাচাই | Voter Information Verification
অবশ্যই আপনি যদি কিছু ডকুমেন্টস প্রদান না করেন তাহলে আপনার আবেদন টা গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে সেই ডকুমেন্টগুলো আমাদের জানা থাকা দরকার। আর সেটা নির্ভর করবে আপনার আবেদনের ধরনের উপর অর্থাৎ আপনি যদি মাতা পিতার নাম সংশোধন করেন সে ক্ষেত্রে কিছু জিনিসের প্রয়োজন পড়বে। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন পড়বে যেগুলো নিচে দেখানো হলো।
বর্তমান ঠিকানা সংশোধনের ক্ষেত্রে – আপনার বিদ্যুৎ বা ইউটিলিটি বিল এর ফটোকপি প্রয়োজন পড়বে (তাই অবশ্যই আপনাদের বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি টা সংগ্রহ করে রাখবেন প্রয়োজনীয় আসবে)।
স্থায়ী ঠিকানা সংশোধনের ক্ষেত্রে – চেয়ারম্যান / কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন পত্র, আপনার স্থায়ী ঠিকানা হালনাগাদ কর পরিষদের রশিদ।
নিজের নাম ও মাতা পিতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে – জাতীয় পরিচয় পত্র (যদি থাকে), শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট কপি, মাতা পিতার জন্ম নিবন্ধন/এনআইডি কার্ড, টিকা কার্ড বা হাসপাতালের সনদ।
এখন আমরা স্টেপ বাই স্টেপ online birth certificate correction কিভাবে করতে হয় এবং আবেদন করতে হয় এই বিষয়টাও জানবো। তাছাড়া স্টেপ বাই স্টেপ আরো নানা বিষয় শেয়ার করার চেষ্টা করব যেটা কিনা ইনশাআল্লাহ আপনার কোন না কোন সময় উপকারে আসবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করুন
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম bdris.gov.bd/br/correction এই ফেইসটা ভিজিট করতে হবে। এখানে আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্চ করুন এবং নিবন্ধন কার্যালয় সিলেক্ট করুন। কি সংশোধন করতে চান লিখে সঠিক ইনফরমেশন দিন। আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাবমিট করুন এবং আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা তে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করুন।
আপনার সংশোধনটি যখন হয়ে যাবে ঠিক তখনই জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে দেখবেন সেটা আসলেই ঠিক হয়েছে কিনা। যদি ঠিক না হয় পুনরায় কয়েকদিন অপেক্ষা করার পরে ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা তে যোগাযোগ করুন। তারা যাচাই বাছাই করে দেখবে আর কয়দিন লাগবে কিংবা ঠিক হয় নাই কেন।
সম্পূর্ণ প্রসেসটা কিংবা আপনার কারেকশনটা কমপ্লিট হওয়ার পরে আপনি অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করেনিন এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করুন। তবে যেহেতু অনেক সময় আমাদের অফলাইন জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন পড়ে তাই অবশ্যই আপনার ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা ফোর সহবা থেকে সিগনেচার সহ অফলাইন জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করুন।
step#1: birth certificate correction ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই এর মত আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতেও প্রয়োজন পড়বে কোন একটা ওয়েবসাইট ভিজিট করা যেটা কিনা সরাসরি গভর্নমেন্ট ভিত্তিক পরিচালিত। মূলত এই ওয়েবসাইটটা হচ্ছে bdris.gov.bd এটি। সুতরাং আপনি যদি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে চান তাহলে সরাসরি উপরে দেওয়া লিংকে ক্লিক করতে পারে।
অথবা আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করিও ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন। অথবা আপনি সরাসরি চাইলে ওয়েবসাইটের লিংকটা লিখে গুগলে সার্চ করতে পারেন। গুগলের সার্চ রেজাল্টের প্রথম ওয়েবসিটে প্রবেশ করুন এবং কি করতে হবে সেই স্টেপটা ফলো করুন।
ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার ফলে আপনি মেনুবার থেকে জন্ম নিবন্ধন এই ক্লিক করুন ক্লিক করার পরে আপনার সামনে কয়েকটা অপশন শো করবে সেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন এখানে ক্লিক করুন।
step#2: আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে birth certificate সার্চ করুন
ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পরে আপনার জন্ম নিবন্ধন টা এখানে সার্চ করতে হবে। সার্চ করার পরে যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন এভেইলেবল থাকে তাহলেই আপনি সেটা সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। সুতরাং সার্চ করার জন্য ওয়েবসাইটে দেখানো নিয়ম অনুযায়ী ভিজিট করুন।
ভিজিট করার পরে আপনি দুইটা অপশন দেখতে পাবেন প্রথম অপশনে আপনার জন্ম নিবন্ধন এর ১৭ ডিজিটাল নাম্বার দ্বিতীয় অপশনে আপনার সঠিক জন্ম তারিখ জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী দিতে হবে। একদম নিচে অনুসন্ধান নামে একটা বাটন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
এখন যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে এবেলেবল থাকে এবং সঠিক হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধন দেখতে পাবেন। সুতরাং আপনার জন্ম নিবন্ধনের বিভিন্ন তত্ত্বের ডান পাশে নির্বাচন করুন নামে একটা বাটন দেখতে পাবেন সুতরাং সেখানে ক্লিক করে নির্বাচন করুন আপনার জন্ম নিবন্ধনটি।
step#3: আপনার নিবন্ধন কার্যালয়ের ঠিকানা প্রদান করুন
এখন আপনার সামনে আরেকটা অপশন শো করবে মূলত এটা হচ্ছে আপনার নিবন্ধন কার্যালয়ের ঠিকানা সিলেক্ট করার জন্য। সুতরাং এখানে আপনি যে ফোর সভা কিংবা যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন করিয়েছেন সেটা সিলেট করুন পর্যায়ক্রমে দেশ, বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা, পৌরসভা/ইউনিয়ন, অফিস সিলেক্ট করুন।
এক কথায় বলতে গেলে এখানে আপনার নির্দিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা যে পৌর সভা থেকে জন্ম নিবন্ধন করিয়েছেন সেটা সিলেক্ট করতে হবে। তো আপনার পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ খুঁজে পেতে অবশ্যই বিভাগ জেলা উপজেলা এগুলোই সিলেক্ট করতে হবে সর্বপ্রথম।
need attention – আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্চ করার পরে যখন সিলেক্ট করবেন ঠিক তখনই যদি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা যেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন করিয়েছেন সেটা অটোমেটিকালিভাবে সিলেক্ট হয়ে যায় তাহলে আপনাকে এর পরের ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে।
step#4: আপনার সংশোধনের তথ্য নির্বাচন করুন
এখন আপনার সামনে কয়েকটা অপশন শো করবে সেখান থেকেই বিষয় যেটা রয়েছে সেখানে আপনার নির্বাচন করতে হবে কোনটা সংশোধন করতে চান। তো আপনি যদি নাম সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নাম বাংলায় অথবা ইংরেজি কোন একটা সিলেক্ট করতে হবে।
সুতরাং এভাবেই আপনি যেটা সংশোধন করতে চান সেটা সিলেট করুন এবংআপনি যা যা সংশোধন করতে চান সবগুলো সিলেক্ট করে সংযোজন করুন এবং পরবর্তী স্টেপে কি করতে হবে সেটা জেনে নিন। তো আপনি একটা সিলেট করার পরে যদি আরো তথ্য সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে আরো তথ্য সংযোজন করুন নামে যে বাটনটি রয়েছে সেখানে ক্লিক করে বাকি সংশোধনের তথ্য নির্বাচন করুন
step#5: জন্মস্থানের ঠিকানা, স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা দিন
আরেকটু নিচে স্ক্রল করলে আপনি সর্বপ্রথম জন্মস্থানের ঠিকানা নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন সেখানে আপনার জন্মস্থানের দেশ, বিভাগ, ডাকঘর (বাংলা, ইংরেজি), গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলা, ইংরেজি), বাসা ও সড়ক (নাম ও নাম্বার) বাংলা এবং ইংরেজি উভয়টা দিতে হবে।
ঠিক একইভাবে আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানার দেশ, বিভাগ, ডাকঘর (বাংলা, ইংরেজি), গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলা, ইংরেজি), বাসা ও সড়ক (নাম ও নাম্বার) বাংলা এবং ইংরেজি উভয়টা দিতে হবে।
step#6: আবেদনকারীর তথ্য দিন
এখন একটা অপশন শো করবে যেখানে যে ব্যক্তি আবেদন করবে অনলাইনে তার পরিচয় দিতে হবে যদি পিতা হয় তাহলে পিতা, আর যদি মাতা হয় তাহলে মাতা এভাবেই সিলেক্ট করুন। আর যদি নিজেই আবেদন করে থাকেন তাহলে নিজ অপশনটা যেটা রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
এখন অবশ্যই আবেদনকারীর নাম এবং আবেদনকারীর ঠিকানা পরবর্তীতে আবেদনকারীর নাম্বার দিতে হবে এগুলো অবশ্যই দিতে হবে। যদি আবেদনকারীর ইমেইল থাকে তাহলে সেটাও দিতে পারবেন।
আর যদি পিতা-মাতা ব্যতীত আবেদনকারী অন্যজন হয় তাহলে অবশ্যই তার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিতে হবে। একদম শেষ অবশ্যই আপনাকে সেটাই মাথায় রাখতে হবে।
একটু প্রয়োজনে ডকুমেন্টস দেওয়ার পরে অবশ্যই চেক করে নিবেন কোন ভুল হয়েছে কিনা এবং যেটা সংশোধন করতে চাইছেন সেটা সিলেক্ট করেছেন কিনা এবং আপনি সংশোধন করে দিয়েছেন কিনা।
তো একদম নিচে সংযোজন নামে আরেকটা বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় প্রমাণের স্ক্যান কপি আপলোড করুন। তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার মোবাইলে সোজাসুজিভাবে আপনার প্রমাণপত্রের ছবি তুলে আপলোড দিতে পারেন।
আপনার প্রমাণপত্র আপলোড করার পরে পেমেন্ট করার অপশন শো করবে সুতরাং এখান থেকে আপনার পেমেন্টের ধরন সিলেক্ট করুন যেমন ফি প্রধান অথবা চালানোর মাধ্যমে।
সুতরাং পরবর্তী তে আপনাকে সাবমিট বাটন ক্লিক করতে হবে। সাবমিট বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে যদি আপনার দেওয়া সমস্ত ইনফরমেশন ঠিক ঠিক থাকে তাহলে success দেখাবে এবং আবেদন নাম্বার দেখাবে।
step#7: জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
এখন আপনার সামনে আরেকটা পেইজ ওপেন হবে যেখানে দুইটা বাটন দেখতে পাবেন একটা হচ্ছে আবেদনপত্র প্রিন্ট করুন নামে যে বাটনটি রয়েছে সেখানে ক্লিক করে প্রিন্ট করে নিন যদি সম্ভব হয়।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে যারা মোবাইল ইউজার রয়েছেন তারা প্রিন্ট করতে পারেনা কিংবা প্রিন্টার না থাকার কারণে প্রিন্ট করা সম্ভব হয় না। তারা অবশ্যই আবেদন পত্রের নাম্বার যেটা রয়েছে সেটা কালেক্ট করে রাখবেন।
এখন আপনার অনলাইনে আবেদন কমপ্লিট হয়ে গেল অবশ্যই এটা নিয়ে আপনার ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভাতে যোগাযোগ করতে হবে।
তারা যদি দেখতে পাই যে আপনার অনলাইন আবেদন ঠিকঠাক আছে তাহলেই তারা বিভিন্ন চেয়ারম্যান এবং সচিব ইত্যাদি সিগনেচার করবেন এবং আপনার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরম ডাউনলোড
আমরা অনেকেই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরম টা ডাউনলোড করতে চাই। তারা চাইলে উপরের দেখানো নিয়ম অনুযায়ী ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যাবতীয় ইনফরমেশন কালেক্ট করবেন।
একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে আপনি আবেদনপত্র প্রিন্ট করুন নামে একটা বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করলেই আপনি জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন।
তবে এটা শুধু ফরম নয় আপনার ফরম ফিলাপ সহ ডাউনলোড হবে অর্থাৎ আপনি যে ইনফরমেশন দিয়ে আবেদন পত্র প্রিন্ট করতেছেন সেই ভাবে ডাউনলোড হবে যেভাবেই আপনি ইনফরমেশন সাবমিট করেছেন।
তবে আপনারা চাইলে যারা সরাসরি ফর্মটা আনফিলাপ ডাউনলোড করতে চান বাংলাদেশের গভর্নমেন্ট ভিত্তিক forms.mygov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে খুঁজিয়া খুঁজি করতে পারেন আশা করি পেতেও পারেন।
জন্ম নিবন্ধন নাম সংশোধন করুন
আপনারা চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন নাম সংশোধন করার আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ফলো করতে হবে আপনাকে আজকের দেখানো নিয়মটা যেটা আমিও পড়ি শেয়ার করেছি।
সুতরাং আপনি যদি নাম সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে আবেদনের উদাহরণ সিলেক্ট করার সময় অবশ্যই নাম সিলেক্ট করবেন। তবে আপনি যদি নাম ইংরেজি সিলেক্ট করতে চান তাহলে ইংরেজি সিলেক্ট করবেন। আর যদি বাংলায় সংশোধন করতে চান তাহলে বাংলা সিলেক্ট করবেন।
জন্ম নিবন্ধন জন্ম তারিখ সংশোধন
আপনারা চাইলে নিজের জন্ম তারিখটাও সংশোধন করতে পারবেন যদি সেখানে কোন প্রকার দেখতে পান। তার জন্যেও অবশ্যই আজকের এই দেখানো পদ্ধতিতে ফলো করতে হবে। সেখানে যখন আপনাকে আবেদনের ধরন সিলেক্ট করতে বলা হবে ঠিক তখনই জন্ম তারিখ সিলেক্ট করবেন।
সিলেক্ট হয়ে গেলে আপনার সঠিক জন্ম তারিখটা প্রোভাইড করবেন এবং সে অনুযায়ী আবেদন করবেন। শেষ পর্যায়ে গিয়ে আপনাকে আবেদন পত্র টা ডাউনলোড করতে হবে এবং আপনি অবশ্যই আবেদন পত্রের নাম্বারটি কালেক্ট করে রাখবেন।
যাচাই | জন্ম নিবন্ধন যাচাই |
সংশোধন | জন্ম নিবন্ধন সংশোধন লিংক |
ডাউনলোড | ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন |
চেক | জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করুন |
স্মার্ট কার্ড | স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক করুন |
FAQ
আমরা দেখতে পাই যে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের একপর্যায়ে গিয়ে একটা নাম্বার দিতে বলা হয় এটা অবশ্যই আবেদনকারীর নাম্বার দিবেন। অর্থাৎ আবেদনটি যে করতে চাই আপনি যদি নিজে হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিজের নাম্বার দিবেন আর যদি মা বাবা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই মা বাবার নাম্বার দিতে হবে।
আমাদেরকে একপর্যায়ে একটা ইমেইল দিতে বলা হয় সেটা কি আসলেই দিতে হয়? সেটা যদি এভেলেবেল থাকে তাহলে দিবেন আর না হলে দিতে হবে না। আমার মতে দেওয়াই ভালো কেননা যদি কোন ইমেইলের মাধ্যমে ইনফরমেশন পাঠানো হয় তাহলে সেটা আপনি দেখতে পাবেন।
একটি জন্ম নিবন্ধন চাইলে আপনি পর পর মাত্র চারবার সংশোধন করতে পারবেন তাই অবশ্যই সংশোধন করার সময় এটা খেয়াল রাখবেন যে, যেগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন সবগুলো সংশোধন হচ্ছে কিনা যদি সম্ভব হয় সবগুলো একেবারেই সংশোধন করবেন।
যেহেতু প্রত্যেক জনের জন্ম নিবন্ধনের যে নাম্বারটা রয়েছে সেটা ১৭ ডিজিটের তাই আপনি ১৬ ডিজিট এর জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারবেন না। তবে ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করা যায় এর জন্য আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কার্যালয় যোগাযোগ করতে হবে।