আপনারা যারা নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান কিংবা জন্ম নিবন্ধন করার জন্য কি কি প্রয়োজন এসব বিষয় জানতে চান তারা আজকের এই ব্লগটি করুন। এখানে আমি প্রত্যেকটা বিষয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের সাথে এক্সপ্লোর করার চেষ্টা করেছি।
প্রত্যেক মা-বাবার উচিত শিশু জন্ম নেয়ার ৪৫ দিনের মধ্যেই জন্ম সনদ করে ফেলা। এই ক্ষেত্রে কোনো প্রকার খরচ পড়ে না ৪৬ দিনের মধ্যেই করে ফেললে। হয়তো আমরা অনেকেই birth certificate application করতে না জানার কারণে অনলাইন করতে পারিনা।
তাই আমি চিন্তা করলাম, আজকে এমন একটা নিবন্ধ শেয়ার করি যেটাতে এই রিলেটেড সমস্ত প্রশ্নের উত্তর থাকবে। আপনার শিশুর জন্ম নিবন্ধন করাতে কত টাকা প্রয়োজন বা কত বছর বয়সের জন্ম সনদ করাতে কত টাকা লাগবে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর।
আগেকার সময় আমরা যখন নতুন জন্ম নিবন্ধন করাতাম তখন অবশ্যই হাতের লেখা একটা ফর্ম থাকত, সেটা পূরণ করে আবেদন করতাম। কিন্তু এখন দেশ-দুনিয়া আধুনিক হওয়ায় এই প্রচলনটা আর নেই।
এখন আপনাকে নির্দিষ্ট একটা ওয়েবসাইটে (বাংলাদেশ গভার্নমেন্ট ভিত্তিক পরিচালিত) প্রবেশ করে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে জন্ম সনদের আবেদন করতে হবে। যারা জানেন না তারা জেনে নিন আজকের এই ব্লগটি সম্পূর্ণ পড়ে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য https://bdris.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটি প্রবেশ করে ব্যক্তির পরিচিতি, জন্মস্থানের ঠিকানা, পিতা-মাতার তথ্য, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, আবেদনকারীর তথ্য দিয়ে পত্রটি ডাউনলোড করুন এবং আপনার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা কার্যালয় থেকে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করুন।
মূলত new birth certificate application bd এর অনলাইন প্রসেসটা এরকমই হয়ে থাকে। আপনাকে নির্দিষ্ট একটা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখানে আপনার বিভিন্ন ইনফরমেশন এবং আবেদনকারীর তথ্য ইত্যাদি দিতে হবে।
পরবর্তীতে আপনার অনলাইন আবেদন পত্রটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পরিষেবা কার্যালয় যোগাযোগ করে আবেদনটি দাখিল করতে হবে। আপনার সম্পূর্ণ ডকুমেন্টস এবং আবেদন ঠিক থাকলে গ্রহণযোগ্য হবে এবং আবেদনটি কমপ্লিট করবে।
পরবর্তীতে আপনি অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি।
তবে আপনারা যারা সম্পূর্ণ প্রসেসটা জানতে চান এবং এই সংক্ষিপ্ত প্রসেসটা বুঝেন নাই। তারা নিবন্ধটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা বিষয় ভালোভাবে পড়ুন এবং জেনে নিন কিভাবে নতুন বার্থ সার্টিফিকেট আবেদন করতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন কি?
বাচ্চা জন্ম নেয়ার পর সরকারি খাতায় নাম লেখাকেই মূলত জন্ম নিবন্ধন বলে। আপনার জন্ম নিবন্ধন করার মাধ্যমে দেশ-বিশ্বকে এটা জানান দেয়া যে, আপনার বাচ্চা/শিশু বা আপনি জন্মগ্রহণ করেছেন।

আইনগতভাবে শিশুর প্রথম নাগরিকত্ব প্রমাণ করে জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স্ক সকলের জন্ম নিবন্ধন অধিকার নাগরিকত্বের। বিশ্বের প্রায়ই প্রতিটি দেশেই শিশু জন্ম নেয়ার দেশভিত্তিক যেটা স্বীকৃতি দেওয়া হয় সেটা জন্ম নিবন্ধন।
দেশের মধ্যে অন্যান্য জনগণের মতোই নিজের স্বীকৃতি প্রদানে ভূমিকা রাখে আপনার প্রথম করা জন্ম নিবন্ধন। সাধারণত ‘বার্থ সার্টিফিকেট’ নাম রাখার ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা পালন করে, যেটা কিনা তার সারা জীবন পরিচয় বহন করে।
জন্ম নিবন্ধন কেন প্রয়োজন?
সাধারণত কোন ব্যক্তির নাম, নাগরিকত্ব, বয়স প্রমাণ করা হয় জন্ম সনদের মাধ্যমে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থেকে শুরু করে সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা পেতে হলে আপনার জন্ম সনদ থাকা বাধ্যতামূলক।
পাসপোর্ট করাতে গেলে, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভর্তি, আমদানি রপ্তানি বিভিন্ন লাইসেন্স, ব্যাংক একাউন্ট খোলা থেকে যাবতীয় কাজেই এখন লাগে জন্ম সনদ।
এক কথা বলতে গেলে আপনি এখন যদি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চান এবং নানা সুযোগ সুবিধা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্ম নিবন্ধন লাগবেই।
আপনার জন্ম সনদ না থাকলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন যেমন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া, এন আইডি কার্ড করাতেও পারে না।
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে?
সাধারণত কারো জন্ম নিবন্ধন করাতে গেলে বিভিন্ন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে। আমরা জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানার আগে কি কি প্রয়োজন এই বিষয়টা জেনে আসি।
তবে এটা আপনার বয়সের উপর ধারণ করেই বিভিন্ন ডকুমেন্টস কম বেশি হতে পারে। যদি ৪৫ দিন বয়স হবার আগেই করে ফেলেন তাহলে একটু কম জিনিসের প্রয়োজন। তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি-
বয়স | ৪৫ দিন | ৪৬ থেকে ৫ বছর | ৫ বছরের বেশি |
---|---|---|---|
টিকা কার্ড | ✔ | ✔ | ✘ |
মা-বাবার অনলাইন জন্ম সনদ | ✔ | ✔ | ✔ |
মা-বাবার Nid (যদি থাকে) | ✔ | ✔ | ✔ |
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়ন পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) | ✘ | ✔ | ✘ |
বাসার হোল্ডিং নাম্বার/টেক্সট রশিদ | ✔ | ✔ | ✘ |
আবেদনকারীর নাম্বার | ✔ | ✔ | ✔ |
এক কপি কালার প্রিন্ট পাসপোর্ট সাইজের ছবি | ✘ | ✔ | ✘ |
চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বয়স প্রমাণের জন্য) | ✘ | ✘ | ✔ |
স্কুল কর্তৃক সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) | ✔ | ✔ | ✔ |
হালনাগাদ কর পরিশোধের রশিদ | ✘ | ✘ | ✔ |
উপরে আপনার জেনে নিন আপনার জন্য সনদ করাতে আপনার বয়স অনুযায়ী কি কি প্রয়োজন। তবে এখানে কেন্দ্রভেদে বেশ কম হতে পারে, তাই এই বিষয়টা আপনারা আপনার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা থেকে যোগাযোগ করে জেনে নিন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করুন
আমাদের বর্তমান সময়েও অনেক লোক আছে যারা কিনা সঠিক নিয়মটা জানে না কিভাবে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হয়। তাই আজকের এই নিবন্ধনটিতে আমি স্টেপ বাই স্টেপ সবগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করছি।
উপরে আমরা জানলাম জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি প্রয়োজন এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে। এখন আমরা আজকের এই ব্লগের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন এর জন্য অনলাইনে আবেদন কিভাবে করতে হয় এ বিষয়টি জানবো।
আপনি যদি আপনার বার্থ সার্টিফিকেটের অনলাইনে এপ্লিকেশন প্রসেস জানতে চান তাহলে নিচের স্টেপ গুলো অবলম্বন করুন।
১. গ্রাহকের ঠিকানা এবং তথ্য দিন
আপনি জন্ম নিবন্ধনের নতুন আবেদন করতে চাইলে সর্বপ্রথম আপনাকে https://bdris.gov.bd/br/application এই লিঙ্কে প্রবেশ করতে হবে। এখন আপনার কাছ থেকে চাওয়া হবে আপনি কোথায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান যেমন জন্মস্থান/বর্তমান ঠিকানা/ স্থায়ী ঠিকানা/ দূতাবাস (বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায়)।

তো এখান থেকে আপনি সিলেক্ট করবেন কোথায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান। তাই আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন তাহলে দূতাবাস সিলেক্ট করবেন। সেখান থেকে কোন রাষ্ট্রে এবং কোন অফিসে কোথায় সিলেক্ট করবেন যদি বলা হয়।
আর অপরদিকে আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রে সেটি সিলেক্ট করবেন। অপরদিকে আপনি যদি জন্মস্থান থেকেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান তাহলে জন্মস্থান সিলেক্ট করবেন।
কোথায় থেকে আবেদন করেছেন সেটা সিলেক্ট করার পর পরবর্তী নামে একটা একদম নিচে বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। এখন আপনাকে পরবর্তী আরেকটা পেইজ এ নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে মূলত গ্রাহকের বিভিন্ন ইনফরমেশন দিতে হবে যেমন নাম ইত্যাদি।
এখানে মূলত আপনাকে দুই ধরনের ইনফরমেশন প্রোভাইড করতে হবে প্রথমটা হচ্ছে নিবন্ধনা দিন ব্যক্তির পরিচিতি, অপরটা হচ্ছে জন্মস্থানের ঠিকানা।

সুতরাং এখানে নিবন্ধনাদির ব্যক্তির পরিচিতির মধ্যে নামের প্রথম ও শেষ অংশ বাংলায়, নামের প্রথম ও শেষ অংশ ইংরেজিতে, জন্ম তারিখ (খ্রিষ্টাব্দ), পিতা-মাতার কততম সন্তান এবং লিঙ্গ।
জন্মস্থানের ক্ষেত্রে দেশ, বিভাগ, ডাকঘর (বাংলা, ইংরেজি), গ্রাম/ পাড়া/ মহল্লা (বাংলা, ইংরেজি), বাসা ও সড়ক (নাম নম্বর) (বাংলা, ইংরেজি) এইভাবেই খালিঘর কিংবা ফরমটা পূরণ করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
২. মাতা-পিতার তথ্য দিন
এখন আপনার সামনে একটা ফেস ওপেন হবে যেখানে সর্বপ্রথম আপনাকে পিতার তথ্য দিতে হবে। পিতার দত্তের মধ্যেই পিতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, নাম বাংলা ও ইংরেজি, পিতার এন আইডি নাম্বার (optional), পিতার জাতীয়তা এগুলি দিবেন।

ঠিক একই ভাবে মাতার তত্ত্বের মধ্যে যেগুলো চাওয়া হয়েছে সেগুলোই দিন। মূলত মা-বাবার তথ্য সাধারনতা একই রকম চাওয়া হয় সুতরাং যেভাবে চাওয়া হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই প্রোভাইড করুন।
একদম নিচে ‘পরবর্তী’ নামে একটা বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন এবং পরবর্তী স্টেপে চলে যান সেখানে কি করতে হবে বলে দেওয়া আছে।
৩. বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিন
এ পর্যায়ে এসে আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে সিলেক্ট করতে হবে। আপনি কি নিম্নলিখিত কোন ঠিকানা আপনার স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান।

এখান থেকে যদি আপনি ‘কোনটিই নয়’ বাটনে ক্লিক করেন তাহলে নিচে আপনার সামনে আর অপশন শো করবে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা দেয়ার জন্য।
সুতরাং এখান থেকে আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা দেশ, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ইতালি যেগুলো দিতে বলা হয়েছে সবগুলো দিন। আর একটা বেশি মাথায় রাখবেন, যেগুলো লাল মার্ক করা আছে সেগুলো অবশ্যই দিতে হবে। একদম নিচের ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন।
৪. অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর তথ্য দিন
এ পর্যায়ে এসে আপনাকে দিতে হবে অনলাইনে যে ব্যক্তিটি আবেদন করেছেন তার বিভিন্ন তথ্য। সাধারণত শিশুর অভিভাবক পিতা-মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী।

সুতরাং এখান থেকে আবেদনকারী ব্যক্তির সাথে গ্রাহকের সম্পর্কটা দিবেন। আর যদি নিজে হয়ে থাকেন অর্থাৎ নিজের জন্ম নিবন্ধন অনেক সময় নিজেকে করতে হয় তো তখন ‘নিজ’ সিলেক্ট করবেন।
তারপর আবেদনকারীর নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল (যদি থাকে) দিবেন। ইমেইল ঠিকানা দিলে ভালো হবে যদি কোন ইনফরমেশন পাঠানো হয় তাহলে সেটা আপনি দেখতে পাবেন।
পুনরায় সবগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা ভালোভাবে দেখে নিবেন। যদি সবগুলো ঠিকঠাক থাকে তাহলে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পন্ন করুন।
৫. অনলাইন Birth registration application পত্রটি প্রিন্ট করুন
এখন আপনারা আবেদনটা কমপ্লিট হওয়ার পরে অর্থাৎ এর আগের সমস্ত স্টেপ কমপ্লিট করি আপনাকে আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করতে বলা হবে। আর যদি প্রিন্টার থাকে তাহলে অবশ্যই প্রিন্ট করে নিবেন।
আর আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করতে অবশ্যই Headers and Footers অপশনটি সিলেক্ট করে রাখবেন, যেন সবগুলো Atoz প্রিন্ট হয়ে যায়।
ওহ হ্যাঁ, আর যদি আপনার কাছে প্রিন্টার না থাকে তাহলে অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাবেন সেটা কালেক্ট করে রাখুন। পরবর্তীতে কোন কম্পিউটার প্রিন্ট সেবা দানকারী দোকানে গিয়ে সেটা (আবেদন পত্রটি) প্রিন্ট করে নিন অনলাইন থেকে।
আর আবেদন করার পরে আপনি যে application ID পেয়েছিলেন সেটা কালেক্ট করে রাখুন, যে কোন সময় প্রয়োজন হতে পারে। এখন আপনাকে সর্বশেষ আবেদন পত্রটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
এখন আপনারা আবেদন পত্রটি তারা যদি সবগুলো ঠিকঠাক দেখতে পায় এবং আপনারা আবেদনটি সঠিক হয়। তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কিংবা কার্য দিবসের মধ্যে আপনার জন্ম নিবন্ধনটা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
তবে অনেক সময় আমাদের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে। কেননা জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করার পরে অনেক সময় দেখা যায় যে, সেখানে ভুল হয়েছে বা ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশোধন করে নিন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার একদম শেষ পর্যায়ে আমাদেরকে জন্ম সনদ এপ্লিকেশন পত্রটি প্রিন্ট করতে বলা হয়। যদি প্রিন্টার থাকে তাহলেই তো বলো আর যদি না থাকে অ্যাপ্লিকেশন আইডি কালেক্ট করে রাখতে হবে।
পরবর্তীতে সেটা অনলাইন থেকে অর্থাৎ আবেদন পত্রটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার জন্য। আপনাকে সর্বপ্রথম গুগলে গিয়ে সার্চ করতে হবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট লিখে। সর্বপ্রথম আইসা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং আপনার আবেদনের ধরন সিলেক্ট করুন।
এপ্লিকেশন আইডি এবং জন্ম তারিখ দিন। একদম নিচে একটা প্রিন্ট বাটন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন। তারপর আপনার প্রিন্টার দিয়ে সেটা প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই
আপনারা যারা সম্প্রতি জন্ম নিবন্ধন আবেদন করেছেন তারা চাইলে ই বাট সার্টিফিকেট স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন আপনার জন্ম সনদটা কোন অবস্থাতে রয়েছে।
সুতরাং জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই করতে https://bdris.gov.bd/br/application/status এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং জন্ম তারিখ দিন।
পরবর্তীতে একদম নিচে থাকা দেখুন বাটনে ক্লিক করলেই আপনি জানতে পারবেন আপনার জন্ম সনদটা কোন অবস্থাতে রয়েছে। সেটা রেডি হয়েছে কিনা এবং চাইলে আপনি রেডি হলে সেটা অনলাইন যাচাই করতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করুন
আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে হইতে অনলাইন থেকে ই বাট সার্টিফিকেট অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি ডাউনলোড করে সেটা হাতে পূরণ করব, মূলত আসলেই বিষয়টা তেমন নয়।
মূলত আপনাকে আজকের এই দেখানো নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর স্টেপ বাই স্টেপ আপনার বিভিন্ন ইনফরমেশন দিয়ে স্টেপ গুলো শেষ করতে হবে।
পরবর্তীতে একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে আপনি আবেদন পত্র টা প্রিন্ট করতে পারবেন। মূলত এই আবেদন পত্রই হচ্ছে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম। এরা এভাবে আপনারা আবেদন ফরমটা ডাউনলোড করে নিন এবং সেটা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে সাধারণত যে হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছে তার হাসপাতালে সার্টিফিকেট, টিকা কার্ড, মা-বাবার অনলাইন জন্ম সনদ ইত্যাদির প্রয়োজন।
সাধারণত জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে https://bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, তথ্য দিয়ে জন্ম সনাতনের আবেদন প্রসেস কমপ্লিট করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদনের ক্ষেত্রে ৪৫ দিনের বয়সের মধ্যে জিরো টাকাতে, ৪৫ দিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ২৫ টাকা, পাঁচ বছরের অধিক হলে ৫০ টাকা করে ফি প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র আপনার জীবনে একবার জন্ম সনদ করাতে পারবেন। তবে আপনার ভুলবশত যদি ডুপ্লিকেট জন্ম সনদ হয়ে যায় তাহলে জন্ম নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন এর মধ্যে সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর নাম লেখা থাকে না। বরং নিজের নাম, মা-বাবার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি লেখা থাকে।
যাচাই | জন্ম নিবন্ধন যাচাই |
সংশোধন | জন্ম নিবন্ধন সংশোধন |
nid correction | জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন |
nid check | জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই |
bdris link | bdris gov bd |