আপনি যদি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হন এবং ১৬ বছর বয়স পদার্পণ করেন তাহলেই এন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন তার জন্য অবশ্যই নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম জানা থাকতে হবে। আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে আপনি এই কাজটা অনলাইনই করতে পারবেন অর্থাৎ ১৬ বছর বয়স পদার্পণ করার পরেই Apply new NID card এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
প্রত্যেকটা নাগরিকের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হচ্ছে কিংবা ডকুমেন্টস হচ্ছে এনআইডি কার্ড কারো কাছে যদি আইডি কার্ড না থেকে তাহলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন কারণে। আপনি যদি ব্যাংক একাউন্ট করতে যান সে ক্ষেত্রেও আইডি কার্ডের প্রয়োজন আবার সিম রেজিস্ট্রেশন করতে গেলেও।
জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করার নিয়ম
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য সর্বপ্রথম যে শর্তটা আপনাকে ফোন করতে হবে সেটা হচ্ছে ১৬ বছর কিংবা তার বেশি অর্থাৎ আপনি যদি 16 বছর কিংবা ১৮ বছর পদার্পণ করার পরেও আইডি কার্ড না করিয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন নতুন ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য।
আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা / থানা বা নির্বাচন অফিসে জমা দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে অর্থাৎ যখন আপনার ডকুমেন্টগুলো ঠিক থাকবে তখন আপনাকে বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের চাপ ইত্যাদি) গ্রহণ করার জন্য ডাকা হবে।
আরো পড়ুন জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান | How to find nid card
আপনি চাইলেই যে কোন সময় অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আবেদন করতে পারবেন কেননা এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই চিন্তা করলাম আজকের এই নিবন্ধ তে আপনাদের সাথে সেই বিষয়টা যেন শেয়ার করি আশা করি পুরোটা পড়বেন উপকার আসবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করার প্রাথমিক শর্ত
- বয়স ১০ বছর বা তার বেশি হতো
- অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
- এর আগে জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে আবেদন করা যাবে না
জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করতে কি কি লাগে
আপনার যখন অনলাইনে আবেদন শেষ হয়ে যাবে তখন আবেদনের একটা প্রিন্ট কপি এবং নিচে যে সমস্ত ডকুমেন্টস দেওয়া রয়েছে সেগুলো এর ফটোকপি নিয়ে আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারে এ যোগাযোগ করবেন। যা যা প্রয়োজন-
- অনলাইন আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি
- এসএসসি অথবা সম্মানের সার্টিফিকেট (যদি থাকে) বয়স প্রমাণ করার জন্য
- জন্ম নিবন্ধন সনদ (বয়স প্রমাণ করার জন্য)
- ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা কর্তৃক দেওয়া টিন সার্টিফিকেট
- মা-বাবার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- মা-বাবা মৃত হলে মৃত্যু সনদ প্রয়োজন
- স্বামী স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে)
- ইউটিলিটি বিল এর ফটোকপি
- জাতীয়তা সনদ কিংবা নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট
উপরোক্ত বিষয়গুলো কালেক্ট করার পরে আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারে যোগাযোগ করবেন। যদি আপনার দেওয়া ডকুমেন্টস গুলো ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনাকে বায়োমেট্রিক গ্রহণের জন্য ডাকা হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্রে আবেদন করার নিয়ম স্টেপ বাই স্টেপ
আপনাকে নির্দিষ্ট একটা স্টেপ অবলম্বন করার মাধ্যমে অনলাইনে এনআইডি কার্ড কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য নতুনভাবে আবেদন করতে পারবেন যদি আগে কোন আইডি কার্ড না থাকে এবং অফ করে দেওয়া শর্তগুলো ঠিক থাকে। যদি শর্তগুলো জানা না থাকে তাহলে উপর থেকে পড়ে আসুন।
Time needed: 5 minutes
ভোটার আইডি কার্ড নতুনভাবে অনলাইনে আবেদন করার জন্য নিচের স্টেপ গুলো প্রাথমিকভাবে ফলো করতে পারেন
- এন আই ডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে বাংলাদেশ এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে সুতরাং এর জন্য এখানে ক্লিক করতে পারেন বা services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন
- ডকুমেন্টস সাবমিট করুন
রেজিস্ট্রেশন করা শেষ হয়ে গেলে আপনাকে আপনার বিভিন্ন ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস যেমন মা-বাবার আইডি কার্ডের নাম্বার, আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি
- আবেদনপত্র প্রিন্ট করুন
আপনি অনলাইনে এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করার পরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাবমিট করে যখন আবেদন করবেন তখন একটা প্রিন্ট কফি নিবেন সেটা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে
- আবেদন ভেরিফিকেশন
যখন আপনি আপনার আবেদন পত্র টা নির্বাচন কমিশনারের জমা দিবেন তখন সেটা তারা যাচাই-বাছাই করবে অবশ্যই আপনার কাছ থেকে একটা তারা নাম্বার নিয়ে নিবে কিংবা নাম্বার দেওয়ার একটা অপশন থাকবে সেখানে আপনি নাম্বার দিবেন। মোট কথা হচ্ছে তারা আপনার দেওয়া বিভিন্ন ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করবে এই স্টেপের মধ্যে
- বায়োমেট্রিক প্রদান
যখন আপনার দেওয়া সমস্ত ডকুমেন্টস ঠিকঠাক দেখবে তখন আপনাকে আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনার থেকে যোগাযোগ করা হবে এবং বায়োমেট্রিক প্রদানের জন্য ডাকা হবে বায়োমেট্রিক বলতে আঙ্গুলের চাপ ইত্যাদি
- জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড
আপনার সবগুলো যখন ঠিকঠাক থাকবে এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করে ফেলবে তখন আপনাকে একটা স্লিপ দেওয়া হবে সেই স্লিপের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন
আমি এ পর্যন্ত আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র করতে কি কি প্রয়োজন, কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে এবং কিভাবে করতে হয় এই বিষয়টা প্রাথমিকভাবে। নিচে আরো পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে কিভাবে নতুন এনআইডি কার্ড করতে হয়।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য সর্বপ্রথম services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটা অ্যাকাউন্ট করার পরে বিভিন্ন ডকুমেন্টস সাবমিট করে, আবেদনের ফ্রেন্ড কপি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারের জমা দিলে আপনাকে বায়োমেট্রিক প্রদানের পর জাতীয় পরিচয়পত্র করাতে পারবেন।
আপনার আবেদন পত্রটি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারে যখন জমা দিবেন তখন সবগুলো ঠিক থাকলে আপনাকে বায়োমেট্রিক প্রদানের জন্য ডাকা হবে। আপনার আঙ্গুরের এবং আপনার ছবি ইত্যাদি আশাকরি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে কি করতে হয় প্রাথমিকভাবে।
আপনার বায়োমেট্রিক প্রদানের পরে 10 থেকে 15 দিনের মধ্যে তবে এর বেশিও সময় লাগতে পারে আপনাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে কিংবা আপনি স্লিপের মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার আইডি কার্ড হয়েছে কিনা এবং অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
step-1 এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন
আপনি চাইলে খুব সহজেই অনলাইনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট ভিজিট করে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আবেদন করতে হবে তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রসেস কিংবা স্টেপ অবলম্বন করতে হবে যেগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তবে প্রথম স্টেপটা হচ্ছে এন আই ডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম রেজিস্ট্রেশন করা
অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র এর এর অনেক সুবিধা রয়েছে তার অন্যতম হচ্ছে এখানে কোন প্রকার আইডি কার্ডে ভুল হওয়ার সুযোগ নেই কেননা আপনি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য নিজেই সিলেক্ট করতেছেন এবং লিখতেছেন সুতরাং এন্ড আইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম এ কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এটা নিচে দেওয়া হল-
১. একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন
আপনাকে সর্বপ্রথম নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম এর জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে সুতরাং এর জন্য প্রথমে এখানে ক্লিক করুন সুতরাং এখন আপনার সামনে দুইটা অপশন চলে আসবে একটা হচ্ছে রেজিস্টার করুন অপরটা হচ্ছে আবেদন করুন সুতরাং আপনি যেহেতু নতুন আবেদন করবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদন করুন এই বাটনে ক্লিক করতে হবে
এখন আপনার সামনে আরেকটা পেজ ওপেন হবে যেখানেই কয়েকটা অপশন দেখতে পাবেন একটা হচ্ছে আপনার নাম দেয়ার, আরেকটা হচ্ছে আপনার সঠিক জন্ম তারিখ দেয়ার এবং নিচে একটি ক্যাপচা (তৃতীয় খালি ঘর এর উপরে যে সংখ্যাটি রয়েছে সেটা তৃতীয় ঘর এর মধ্যে বসাতে হবে। একদম নিচে একটা বাটন দেখতে পাবেন বাহাল নামে সুতরাং সেখানে ক্লিক করুন।
২. মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করুন
আপনার নাম জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা পূরণ করার পরে পরবর্তী স্টেপের মধ্যে আপনার নাম্বারটা ভেরিফাই করতে হবে। অর্থাৎ একাউন্ট খোলার সময় আপনাকে এমন একটা নাম্বার দিতে হবে যেটা কিনা সচল আপনার কাছেই সব সময় থাকবে। তবে চাইলে আপনি পরিবারের যে কোন সদস্যের নাম্বার দিতে পারেন যার এনআইডি কার্ড তারটা দিলেই বেটার।
নাম্বারটা সঠিকভাবে বসিয়ে দেওয়ার পরে বার্তা পাঠান বাটন ক্লিক করুন ঠিক তখনই আপনার দেওয়া নাম্বারে একটা এসএমএস চলে আসবে যেটা কিনা আপনাকে পরবর্তী পেজের মধ্যে বসাতে হবে। সুতরাং নেই যখন বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে একটা পেজে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে আপনি একটা ওটিপি বসানোর অপশন পাবেন। সুতরাং এই পেইজের মধ্যেই যাচাই করন কোডটা বসিয়ে দিন এবং বাহাল বাটনে ক্লিক করুন।
৩. একটি ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড অ্যাড করুন
দেখুন আপনার সামনে একটা পেইজ ওপেন হবে যেখানে আপনি আপনার একটি ইউজার নেম (হুবহু নাম্বার দিলে মনে রাখতে সুবিধা হয়) দেওয়ার অপশন এবং দুটি পাসওয়ার্ড দেয়ার (পাসওয়ার্ড এবং কনফার্ম পাসওয়ার্ড) অপশন চলে আসে কেন আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন।
অবশ্যই একটি বেলিড ইউজার নেম এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিতে হবে যেন সহজে যে কেউ লগইন করতে না পারে। পরবর্তীতে আপনি যেকোনো সময় এই ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি যাতে পরিচরত্র যাচাই এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
অবশ্যই ইউজার নেম দেওয়ার সময় ইংরেজি এর সাথে সাথে অক্ষর দেওয়ার চেষ্টা করবেন যেন ইউনিক হয় এবং শক্তিশালী আট ডিজিটের একটা পাসওয়ার্ড দিবেন। যদি ইউজার নেম দেবার সময় Username Already Exists দেখায় তাহলে অবশ্যই আপনার ইউজার নামটি আগে কেউ ব্যবহার করেছে সুতরাং এটা পাল্টাইয়া দিতে হবে অর্থাৎ আরেকটা দিতে হবে।
৪. ব্যক্তিগত তথ্য সাবমিট করুন
উপরের স্টেপ গুলো ফলো করে যখন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে যাবে তখন আপনার সামনে একটা অটোমেটিক্যালি অ্যাকাউন্টের ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে যেখান থেকে আপনাকে প্রোফাইল নামে যে বাটনটা রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে।
যদি আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ড টা অটোমেটিক্যালি ভাবে ওপেন না হয় তাহলে আপনাকে লগইন করার মাধ্যমে আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করতে হবে এবং প্রোফাইল নামে যে বাটনটা রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে। সুতরাং বাটনটাতে ক্লিক করার পরে নিজের প্রসেস গুলো ফলো করুন-
- এখন আপনার সামনে আরেকটা পেজ ওপেন হবে যেখানে এডিট নামে একটা বাটন দেখতে পাবেন সুতরাং সেখানে ক্লিক করে আপনার প্রোফাইলটি এডিটেবল করে ফেলুন
- এখন আপনার সামনে যে ফেসটা ওপেন হবে সেখানে তিন ধরনের জিনিস আপনি এডিট করতে পারবেন
- ব্যক্তিগত তথ্য:- এই তথ্যের মধ্যে আপনার নাম, জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, মা বাবার নাম, পিতার এনআইডি নাম্বার, লিঙ্গ, রক্তের গ্রুপ, জন্মস্থান, জাতীয়তা এবং মৃত্যু সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ইত্যাদি। মোট কথা যেগুলো যেভাবে সেভাবে দিবেন। যদি বাংলায় লিখতে বলে তাহলে বাংলায় লিখবেন আর যদি ইংরেজিতে লিখতে বল তাহলে ইংরেজিতে লিখবেন। সুতরাং ব্যক্তিগত তথ্য, মা-বাবার তথ্য, স্বামী-স্ত্রীর তথ্য ইত্যাদি সবগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন
- অন্যান্য তথ্য:- এখন অন্যান্য তত্ত্বের মধ্যে আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, অসমর্থতা, শনাক্তকরণ চিহ্ন (বাংলা) অর্থাৎ আপনাকে চিহ্নিত করার জন্য শরীরে কোন ইত্যাদি যদি থাকে, টিন নাম্বার, ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার, পাসপোর্ট নাম্বার, ধর্ম এবং টেলিফোন নাম্বার ইত্যাদি দেওয়ার পরে আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- ঠিকানা:- এখন ঠিকানা অপশনে যাওয়ার পরে অবস্থানরত দেশের নাম, ভোটার ঠিকানা (বর্তমান/স্থায়ী), বর্তমান ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা আর. এম. ও. , ইউনিয়ন, মৌজা, ইউনিয়নের ওয়ার্ড নাম্বার, গ্রাম, বাসা ইত্যাদি), স্থায়ী ঠিকানা এবং ভোটার ঠিকানাতে যা যা আছে সবগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন
- এখন আপনাকে কাগজপত্র এই অপশনে নিয়ে যাওয়া হবে যদি কোন কাগজপত্র আপলোড করতে বলা হয় তাহলে আপলোড করবেন আর যদি কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন নেই এরকম লেখা থাকে তাহলে কোন কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে না এবং সর্বশেষ সাবমিট বাটন ক্লিক করুন
- এখন আপনাকে নিশ্চিত করুন এই অপশনটা নিয়ে যাওয়া হবে সুতরাং সবগুলো যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করবেন এবং সাবমিশন টা কমপ্লিট করে ফেলবেন।
আমি এই স্টেপের মধ্যে যে বিষয়গুলো শেয়ার করেছি সেগুলো একটু কঠিন হলেও খুব ভালোভাবে ফলো করবেন। যেন কোন প্রকার ভুল না হয় কেননা এই ইনফরমেশনগুলো যদি আপনি ভুল করে ফেলেন তাহলে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এবং এই স্টেপটা একটু লম্বা হবে এবং এটা শেষ করার পরে পরবর্তী স্টেপ ফলো করুন। সুতরাং আপনি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম এই স্টেপ টা শেষ করে দ্বিতীয় স্টেপে চলে যান
step-2 ভেরিফিকেশন করুন
উপরের স্টেপটা অবলম্বন করার পরে আপনি নির্দিষ্ট একটা ফরম পূরণ করে ফেলেছেন এবং একটা একাউন্ট করে ফেলেছেন। আগের স্টেপ টা শেষ করার পরে আপনাকে আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করতে বলা হয়েছে একদম শেষে সুতরাং আপনার আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করার পরে জেলা/উপজেলা নির্বাচন অফিস ও জমা দিতে হবে এবং তারা সেটা যাচাই বাছাই করবে।
step-3 বায়োমেট্রিক প্রদান করুন
যখন আপনার আবেদন পত্রটি তারা যাচাই বাছাই করে সবগুলো ঠিকঠাক থাকবে তখন আপনাকে বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের চাপ) ইত্যাদি নেওয়ার জন্য ডাকা হবে। আপনার মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে কিংবা অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে এবং আপনাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হবে। সুতরাং আপনার Biometric Information সাবমিট করে ফেলুন।
step-4 জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করুন
আপনার আবেদনটি কমপ্লিট হওয়ার পরে ইনশাআল্লাহ ১০ থেকে ১৫ দিন এর মধ্যে আইডি কার্ডটা হয়ে যাবে এবং সেটা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড কিভাবে করতে হয় এই বিষয়টি জানার জন্য এখানে ক্লিক করে আর্টিকেলটি পড়ে আসুন।
তবে অনেক সময় ১০-১৫ দিনের মধ্যে নাও আসতে পারে বিভিন্ন সমস্যার কারণে সুতরাং আপনাকে চিন্তা করতে হবে না যদি সম্ভব হয় তাহলে অনেক আগেই চলে আসবে। অনেক ক্ষেত্রে দুই তিন মাস কিংবা এর অধিক সময়ও লাগতে পারে তবে জেলা, উপজেলা নির্বাচন অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখবেন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২২
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা কিনা 2022 সালের যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড এর আবেদন করতে হয় সেটা খুঁজে থাকে। আসলেই আমরা ২০২২ সালে যে পদ্ধতিতে অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতাম সেটা এখনো প্রক্রিয়া মান রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি আজকের এই নিবন্ধটা শুরু থেকে পড়ে আসেন তাহলে আপনাকে আর গুগল গিয়ে বরং বার এই প্রশ্নটা করতে হবে।
তাছাড়া এখন ২০২৩ সাল যার কারণে হাজার এখন যদি কোন অনলাইন নতুন আইডি কার্ড আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে পরিবর্তন ঘটে তাহলে ২০২২ সালের প্রক্রিয়া থেকে পৃথক হয়ে যাবে। সুতরাং এখন আপনি আজকের দেখানো নিয়ম অনুযায়ী ইনশাআল্লাহ নতুন আইডি কার্ড করার আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে।
অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
অনলাইন নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার প্রক্রিয়া যেটি আমি আজকের এই নিবন্ধটি শেয়ার করেছি সেটা। অর্থাৎ তার জন্য আপনাকে আর্টিকেলটা শুরু থেকে পরে আসতে হবে এবং সবগুলো ভালো ফলো করতে হবে যেন আপনার আবেদন কৃত ইনফরমেশন এর মধ্যে কোন ভুল না হয়।
এখানে অনেকেই অনেক বিষয় বুঝবেন না সেটা আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন আমরা যতটা সম্ভব আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া আপনার ইনফরমেশন দেওয়ার মধ্যে যদি কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে সেটা জেলা কিংবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে জানিয়ে দিবেন।
হোমে যেতে | ক্লিক করুন |
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান করার নিয়ম জানতে | ক্লিক করুন |
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার নিয়ম জানতে | ক্লিক করুন |
নিজের ভোটার আইডি কার্ড নিজে দেখার নিয়ম | ক্লিক করুন |
নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক
নতুন ভোটার আইডি কার্ড যখন আমরা করে ফেলবো তার পরবর্তী প্রসেস হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা কিংবা নির্বাচন অফিসে কি কালেক্ট করা। সুতরাং আমরা যেহেতু সহজেই গর্বে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড কালেক্ট করতে পারবো তাহলে আর নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে না।
সুতারাং আপনি নতুন ভোটার আইডি কার্ড যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চেক করতে পারবেন ঠিক একই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুরাতন আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। সেটা যেহেতু একটা লম্বা এবং স্পেসিফিক বিষয় সে ক্ষেত্রে এখানে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। যার কারণে আপনি যদি সেই বিষয়টি জানতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করে সেই রিলেটেড আর্টিকেলটা পড়ে আসতে পারেন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড কবে দিবে ২০২২
২০২২ সালের শেষের দিকে যারা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করেছেন তারা হয়তো অনেকেই আইডি কার্ড হাতে পেয়েছেন আবার অনেকে হাতে পান নাই। তবে আপনাদের কাছে যদি স্লিপ থাকে তাহলে অনলাইন থেকে স্লিপ দিয়ে যাচাই করতে পারবেন আইডি কার্ড হয়েছে কিনা। সেটা আপনি স্লিপ দিয়েই যদি হয়ে থাকে আইডি কার্ডটা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
তবে যারা এখনো পর্যন্ত নতুন ভোটার আইডি কার্ড করিয়েছেন কিন্তু আইডি কার্ড হাতে পান নাই তবে আপনার সাথে যারা করিয়েছে অন্যরা হাতে পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি জেলে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন অফিসে অথবা ইউনিয়ন কিংবা পৌরসভাতে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।
অবশ্যই করাতে পারবেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং ১০ বছর বয়স অথবা তার বেশি হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস হাতে থাকতে হবে।
আমাদেরকে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার সময় অর্থাৎ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে একটা স্লিপ দেই সেই স্লিপটা যদি হারিয়ে যায় তাহলে থানায় জিডি করাতে হবে এবং জিডি কফিটা নিয়ে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
সেটার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই কখন জমা দিবেন তবেই যত দ্রুত আপনি সম্ভব জমা দিয়ে দিবেন এবং আপনার জন্য সুবিধা হবে কেননা আইডি কার্ডটা তাড়াতাড়ি হাতে পেয়ে যাবেন।
হ্যাঁ আপনি বিদেশেই অবস্থানরত অবস্থায় অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার সময় আপনাকে ঠিকানা দিয়ে অবস্থানরত দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে।