আপনি কি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করিয়ে ফেলেছেন? কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে আপনার আইডি কার্ড হাতে পান নাই কিন্তু আপনার আইডি কার্ড প্রয়োজন? তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা যায় সহজ একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করার মাধ্যমে।
দেখা যায় যে যে আমরা বিভিন্ন ডকুমেন্ট সাবমিট করার পরে ও যখন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করি ঠিক থাকলেই আমাদের আইডি কার্ড না আসার আগে বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হতে পারে। যেমন আমরা যখন নতুন একটা সিম ক্রয় করতে যায় সেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে আরো বিভিন্ন বিষয়ে যেগুলিতে শুধুমাত্র আইডি কার্ড নাম্বার দিয়েই কাজ সেরে ফেলা সম্ভব।
একথা বলতে গেলে আপনার কাছে যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ সময় ভোটার আইডি কার্ড হাতে না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ফরম নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড খুব সহজে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন সহজ একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করার মাধ্যমে। তবে অনেকে যেহেতু নতুন তাই এই বিষয়টা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানে না।
তাই আমি চিন্তা করলাম আজকে আপনাদের সাথে এমন একটা আর্টিকেল শেয়ার করি যেটাতে এই বিষয়টা কিংবা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের বিষয়টা খুব ভালোভাবে উল্লেখ করা থাকবে। তাছাড়া আপনি এই বিষয়টা জানার পাশাপাশি ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড কিভাবে করতে হয় এ বিষয়টাও জেনে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
ভোটার ফরম নাম্বার কি?
ভোটার ফরম নম্বর কিংবা ভোটার স্লিপ নাম্বার এমন একটি নাম্বার যেটা কিনা আমাদেরকে ভোটারের সমস্ত কাজ কমপ্লিট করার পরে যে একটা স্লিপ দেওয়া হয় সেখানেই থাকে। অর্থাৎ ভোটার স্লিপ এর মধ্যে যে নাম্বারটা থাকে সেটা কি আমরা ভোটার ফরম নম্বর বলে থাকি।
ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আপনি যদি খুব সহজে অনলাইন থেকে আপনার ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ যে নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে একটা আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। এখন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়ে গেলে জাস্ট এক ক্লিক করার মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
আসলেই অনলাইন থেকে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা খুব সহজ একটা প্রক্রিয়া। যখন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্ট খুলে শেষ হয়ে যাবে ঠিক তখনই আপনাকে আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাওয়া হবে ড্যাশবোর্ডের মধ্যে ডাউনলোড নামে একটা বাটন দেখতে হবে সেখানে ক্লিক করেই ফরম নম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়।
তবে এখানে যারা বিগিনার রয়েছেন আগে কোনদিনও এই কাজটা করেননি তাদের জন্য একটু টাফ হতে পারে। সুতরাং আপনি যদি স্টেপ বাই স্টেপ এই বিষয়টি জানতে চান তাহলে এখন থেকে শুরু করে আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত করুন। আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনাদের সাথে সহজ ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
Step #1: ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন
আমরা যখন নতুন আইডি কার্ড করার জন্য যায় কিংবা ভোটার হালনাগাদ গ্রহণ করি ঠিক তখনই সম্পূর্ণ প্রসেস কমপ্লিট করার পরে আইডি কার্ড হওয়ার আগে আমাদেরকে একটা স্লিপ দেওয়া হয় আর সেই স্লিপটা হচ্ছে ভোটার স্লিপ। আর ভোটার স্লিপ এর ডান পাশের কর্নারে একটা ফরম নম্বর দেখতে পাবেন আর সেটাই হচ্ছে মূলত ভোটার স্লিপ নাম্বার কিংবা ফরম নাম্বার।
সুতরাং এই ফরম নাম্বার দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে চলে যেতে হবে গুগলে এবং সার্চ করতে হবে nidw লিখে ঠিক তখন সামনে আপনার সামনে একটা সার্চ রেজাল্টের মধ্যে ওয়েবসাইট চলে আসবে nidw.gov.bd নামে সুতরাং সেখানে ক্লিক করুন।
এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি বাম পাশে একটা বাটন দেখতে পাবেন Nid online service নামে সুতরাং সেখানে ক্লিক করুন। এখন আপনার সামনে আরো একটা পেজ ওপেন হবে যেখানে একটা রেজিস্টার করুন আমি অপশন দেখতে পাবেন কিংবা বাটন দেখতে পাবেন সেখানে পুনরায় ক্লিক করতে হবে।
ক্লিক করার পরে আপনার সামনে আরেকটা পেজ ওপেন হবে যেখানে কিনা আপনার ফরম নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি দেওয়ার অপশন গুলো চলে আসবে। সুতরাং এখান থেকে প্রথম ঘরে আপনার ফরম নাম্বার প্রবেশ করুন দ্বিতীয় ঘরে আপনার সঠিক জন্ম তার একটি প্রবেশ করুন।
একদম শেষে আরেকটা ঘর দেখতে পাবেন যেখানে কিনা আপনার একটা ক্যাপচা পূরণ করতে হবে এখানে ক্যাপচা বলতে একদম নিচে যে ঘরটি রয়েছে (তৃতীয় ঘর) সেটার উপরে একটা ঝাপসা ছবির মধ্যে সংখ্যা দেখতে পাবেন মূলত সেই সংখ্যাটা আপনাকে তৃতীয় ঘরের মধ্যেই বসাতে হবে।
তারপর একটু নিচে যখন স্ক্রল করবেন আপনি সাবমিট নামের বাটন দেখতে হবে সুতরাং সেখানে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনাকে পরবর্তী পেজের মধ্যে নিয়ে যাবে। তবে এই ওয়েবসাইটের মধ্যে অর্থাৎ সাবমিট বাটনে ক্লিক করার আগে সেখানে বিভিন্ন বিষয় দেওয়া থাকে সেগুলো পড়ে রাখলে ভালো হয় পরবর্তীতে কাজে দিবে।
এখন আপনাকে আরেকটি পেজে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে মূলত আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা পৃথক পৃথকভাবে সিলেক্ট করতে হবে উভয় ক্ষেত্রে আপনার (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) সিলেক্ট করতে হবে। সুতরাং আপনার স্থায়ী ঠিকানার বিভাগ জেলা উপজেলা পর্যায়ক্রমে সিলেক্ট করুন ঠিক একইভাবে বর্তমান ঠিকানাও।
আরেকটু বিশেষ স্ক্রল করলেই আপনি পরবর্তী নামে একটা বাটন দেখতে পাবেন সুতরাং সেখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার সাথে সাথে আপনাকে আরেকটা পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে একটা অপশন দেখতে পাবেন মোবাইল নাম্বার দেয়ার সুতরাং এমন একটা মোবাইল নাম্বার দিন যেটা কিনা আপনার কাছেই থাকবে।
এক কথা বলতে গেলে এমন একটা মোবাইল নাম্বার দিতে হবে যেটা কিনা সচল অর্থাৎ সেখানে একটা মেসেজ দেওয়া হলে সেটা আপনি দেখতে পাবেন। কেননা নাম্বারটা মূলত ভেরিফাই করার জন্য দেওয়া হবে এবং সেখানে একটা কোড পাঠানো হবে যদি সচল না হয় তাহলে আপনি কোডটা দেখতে পাবেন না।
সুতরাং একটা সচল মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পরে বার্তা পাঠান এ ক্লিক করুন সুতরাং বার্তা পাঠান এ ক্লিক করার সাথে সাথে আপনাকে পরবর্তী আরেকটা পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে একটা খালি ঘর দেখতে পাবেন আপনাকে যে এসএমএস এর মাধ্যমে কোডটা পাঠানো হয়েছে সেটা বসানোর জন্য।
সুতরাং আপনার যাচাই করন করতে বসানোর পরে বহাল বাটনে ক্লিক করুন। বহাল বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনাকে পরবর্তী আরেকটা পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে যেটা কিনা মূলত কিউআর কোড সম্বলিত একটা পেজ।
একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার সম্পূর্ণ প্রসেস
- সর্বপ্রথম অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই ওয়েবসাইট কিংবা লিংকটি ভিজিট করুন
- এখন আপনার সামনে একটা ফেস ওপেন হবে সেখান থেকে প্রথম ঘরের মধ্যে আপনার স্লিপ নাম্বার প্রবেশ করুন
- দ্বিতীয় ঘরের মধ্যে আপনার সঠিক জন্ম তারিখ ঠিক যেভাবে আইডি কার্ড করার সময় দিয়েছিলেন
- একদম শেষ ঘরে প্রদত্ত ক্যাপচা পূরণ করুন অর্থাৎ শেষ ঘরের উপর একটা সংখ্যা দেয়া আছে সেটা বসাতে হবে
- একদম নিচে একটা সাবমিট বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন
- তারপর আপনাকে আর একটা পেজে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সিলেক্ট করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে
- পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সামনে আরেকটা ফেস ওপেন হবে যেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে ‘বার্তা পাঠান’ এ ক্লিক করতে হবে
- বার্তা পাঠান এ ক্লিক করার পর আপনাকে একটা পেজে নিয়ে যাওয়া হবে এবং একটি এসএমএস পাঠানো হবে সুতরাং এসএমএস এর মাধ্যমে যে কোডটি হয়েছে সেটা নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিয়ে বহাল বাটনে ক্লিক করুন
- এখন এনআইডি ওয়ালেট সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করুন
- আপনি চাইলে আপনার একাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন কিন্তু এড়িয়ে যেতে পারেন সুতরাং কোন একটাতে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজে যান
- ডাউনলোড বাটন ক্লিক করে ফরম নাম্বারটি দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন
এখানে খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনারা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন কিভাবে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন প্রথম স্টেপ পরিপূর্ণ করতে হয় কিনা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় Nid card download করার জন্য।
Step #2: ফরম নম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে ফেস ভেরিফিকেশন করুন
এই স্টেজ এর মধ্যে মূলত আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ সম্পন্ন করতে হবে আর সেটা হচ্ছে ফেস ভেরিফিকেশন। সুতরাং ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্য Nid wallet নামে একটা সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে প্লে স্টোর থেকে।
সুতরাং এই সফটওয়্যারটা এখনো ইনস্টল করে নিন এবং যখন আমরা প্রথম স্টেপ শেষ করেছিলাম তখন একটা পেইজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেটা কিনা মূলত কিউআর কোড সম্বলিত। সুতরাং যে কিউ আর কোডটি দেওয়া আছে সেটা এনআইডি ওয়ালেট সফটওয়্যার দ্বারা স্ক্যান করুন।
স্ক্যান করার সাথে সাথে আপনার সামনে অটোমেটিক্যাল ভাবে একটা ক্যামেরা ওপেন হয়ে যাবে। সেই ক্যামেরার মধ্যে আইডি কার্ডের মালিকের ছবি সোজাসুজিভাবে এবং ডানে-বামে এভাবে ঘুরাতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ছবির উপর না আসে ঘুরাতে থাকুন যখন টিক মার্ক চলে আসবে অটোমেটিক্যালি ভাবে একটা ফেস ওপেন হয়ে যাবে।
Step #3: স্লিপ নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পাসওয়ার্ড সেট করুন বা এড়িয়ে যান
এখন আপনার সামনে আরেকটা পেজ ওপেন হবে যেখানে মূলত আপনি দেখতে পাবেন দুটো অপশন একটা হচ্ছে পাসওয়ার্ড সেট করুন নামে অফরটি হচ্ছে এড়িয়ে যান। সুতরাং আপনি যদি আপনার একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পাসওয়ার্ড সেট করুন এখানে ক্লিক করবেন।
ক্লিক করার পর আপনার একটা মুখস্ত থাকে এরকম পাসওয়ার্ড দিয়ে দিবেন। সুতরাং পাসওয়ার্ড টা সেট করে ফেলবেন যদি মনে করেন যে আপনার অ্যাকাউন্টটা সুরক্ষিত রাখতে। তাই আমি আপনাকে এই কমেন্ট করবো পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য অনেকেই না করে থাকে তবে সেটা আনরিকমেন্ডেড।
তবে আপনি যদি চান যে আপনার একাউন্টে পাসওয়ার্ড সেট করবেন না সে ক্ষেত্রে এড়িয়ে যান যে বাটনটিতে রয়েছে সেখানে ক্লিক করে পরবর্তী স্টেপে চলে যান ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য।
Step #4: ফরম নম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন
এ পর্যন্ত যখন আপনার পুরোপুরি ভাবে তিনটে স্টেপ শেষ হয়ে যাবে ঠিক পরেই আপনার সামনে আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ট ওপেন হয়ে যাবে। ড্যাশবোর্ড ওপেন হয়ে গেলে সেখানে ডাউনলোড নামে একটা অপশন দেখতে হবে। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করেই আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে।
স্লিপ নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আপনার কাছে কি শুধুমাত্র স্লিপ নাম্বারটা থাকে সেটা দিয়েই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন তবে প্রয়োজনে কিছু ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। ডকুমেন্ট বলতে আপনার স্লিপ নাম্বার আপনার সঠিক জন্ম তারিখ এবং বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি।
তবে বর্তমান সময়ে সরকার কর্তৃক জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ফেস ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন পড়বে। সুতরাং আপনি এসব বিস্তারিত জানতে চাইলে আজকের এই নিবন্ধটি শুরু থেকে পড়ে আসুন আশা করি উপকারে আসবে।
টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আমরা অনেকেই টোকেন বলতে হয়তো ভোটার আইডি কার্ড স্লিপ বুঝিয়ে থাকি। সুতরাং আপনি যদি টোকেন বলতে এই বিষয়টা বুঝিয়ে দেখেন তাহলে সেটা দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে একটা অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন।
কিভাবে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে সেটা আজকে বিস্তারিতভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে ফেললে ঠিক তখন ডাউনলোড নামে একটা বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন টোকেন দিয়েই।
ভোটার স্লিপ দিয়ে অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
আপনার ভোটের স্লিপ দিয়ে যদি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই nidw অর্থাৎ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে একটা অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন রেজিস্ট্রেশন শেষে বলে আপনি আপনার একাউন্ট থেকে খুব সহজেই ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলেই আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
তবে আপনারটা যদি স্মার্ট কার্ড হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সেটা ডাউনলোড করতে পারবেন না। কেননা স্মার্ট কার্ড এটা হচ্ছে প্লাস্টিক জাতীয় সুতরাং প্লাস্টিক জাতীয় কোন কিছু অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে সেটা আবার প্রিন্ট করা যা সম্ভব নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
হ্যাঁ অবশ্যই আপনি ফরম নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন তবে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটা সর্বপ্রথম বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসিতে ফেস ভেরিফিকেশন ইত্যাদি দিয়ে একাউন্ট করে নিতে হবে। এবং সর্বশেষ ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে যেহেতু জনগণের নিরাপদ নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার কর্তৃক আইডিতে ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে ফেস ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন পড়ে তাই যেহেতু অন্যকেউ ফেস ভেরিফিকেশন করতে পারবেনা তাই ডাউনলোড করা যাবে না।
আপনার ফরম যদি হারিয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থানে থানায় গিয়ে জিডি করাতে হবে এবং আপনি যে থানায় গিয়ে জিডি করিয়েছেন সেটার প্রমাণস্বরূপ আপনার জিডি কপিটা নিকটস্থ নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র pdf ডাউনলোড করার নিয়ম জানতে | ক্লিক করুন |
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান করার জন্য | ক্লিক করুন |
মোবাইল নাম্বার দিয়ে কি জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করা যায়? জানতে | ক্লিক করুন |
ভোটার আইডি কার্ড চেক | ক্লিক করুন |
হোমে যেতে | ক্লিক করুন |