আসলেই আপনি জানেন কি ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম নিয়মটা কেমন সহজ? যদি না জানেন তাহলে আজকের nid search by voter number এর আর্টিকেল কলেজের নিতে পারবেন কিভাবে অনলাইন থেকে এনআইডি কার্ড কালেক্ট করতে হয়। শুধু তাই নয় এবং সেই সাথে আপনি জানতে পারবেন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়মও।
সাধারণত আমরা যখন ভোটার হালনাগাদ অংশগ্রহণ করি কিংবা ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি ঠিক তখনই আবেদন শেষে আমাদেরকে একটা ভোটার স্লিপ দেওয়া হয়। আর আপনার কাছেও যদি সেই স্লিফট থাকে তাহলে সেটা দিয়েই অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড কালেক্ট করা থেকে শুরু করে কিভাবে ডাউনলোড করবেন এই বিষয়টা আজকের এই নিবন্ধ থেকে জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
ভোটার স্লিপ নাম্বার বলতে যে স্লিপ টা দেওয়া হয়েছে সেখানে একটা নাম্বার উল্লেখ করা থাকে মূলত সেটা হচ্ছে ভোটার স্লিপ নাম্বার। আর আপনি যদি ভোটার স্লিপ নাম্বারটা হারিয়ে ফেলেন তাহলে অনলাইন থেকে কালেক্ট করার ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সুতরাং ভোটার স্লিপটা যদি হারিয়ে যান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা নির্বাচন কমিশন অফিসের সাথে যোগাযোগ করুন।
আরো পড়ুন – smart nid status check | স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক করুন
দেখা যায় যে আমরা যখন ভোটার নিবন্ধন হওয়ার জন্য আবেদন করি তখন অনেক সময় লেগে যাই আমাদের হাতে পর্যন্ত এনআইডি কার্ডটা আসতে। অর্থাৎ আমাদের ভোটার আইডি কার্ড হয়ে গেলেও আমাদের হাতে আসতে দেরি হয়ে যায় অনলাইন থেকে কিভাবে কালেক্ট করতে হয় এই বিষয়টা জানা না থাকার কারণে।
কোন ইলেকশনের সময় যদি আমাদের ভোটার আইডি কার্ড হাতে না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি ভোট দিতে পারবেন না। তবে যদি ভোটার লিস্টে আপনার নাম এসে থাকে তাহলে সেখান থেকেও আইডি কার্ড নাম্বার জেনে নিতে পারবেন। তবে ভোটার লিস্টেও যদি আপনার নাম না আসে সে ক্ষেত্রে আপনার স্লিপ এর প্রয়োজন পড়বে যেটা কিনা আপনাকে ভোটার হওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে।
আমরা মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে একটা বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করি সেটা হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ড বের করার জন্য আমাদেরকে কি কি প্রয়োজন পড়বে সেটা নিচে দেওয়া হল-
আইডি কার্ড বের করতে যা যা প্রয়োজন
- ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার অথবা স্লিপ নাম্বার
- সঠিক জন্ম তারিখ
আপনারা যারা ভোটার নিবন্ধন করেছেন কিংবা ভোটার হালনাগাদে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সকলের কাছে ভোটার স্লিপ টা থাকবে তো আমি আজকের এই নিবন্ধ তে পর্যায়ক্রমে কিভাবে ভোটার নাম্বার বের করতে হয় এই বিষয়টাও শেয়ার করার চেষ্টা করব। এক কথা বলতে গেলে খুব প্রয়োজনীয় একটা সকলেরই জানা দরকার তাহলে চলুন আমরা মূল আলোচনায় মুভ করি।
ভোটার নাম্বার জানার উপায়
আপনি যদি ভোটার নাম্বার জানতে চান কিংবা ভোটার নাম্বার জানার জন্য ভোটার স্লিপ এর প্রয়োজন পড়বে। ভোটার স্লিপটা কালেক্ট করার পরে আপনাকে services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এবং ভোটার তথ্য ফেইজে গিয়ে যখন আপনি ভোটার স্লিপ এবং জন্ম তারিখটা দিয়ে ভোটার তথ্য দেখুন বাটনে ক্লিক করবেন তখনই আপনি ভোটার নাম্বার জানতে পারবেন।
আপনারা চাইলে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত আইডি কার্ড হাতে পান নাই তারাও উপরোক্ত পদ্ধতি ফলো করে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন। অর্থাৎ services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে আপনার ভোটার স্লিপ নাম্বার এবং সঠিক জন্ম তারিখ এবং সর্বশেষ একটা ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করলেই আপনার ভোটারের বিভিন্ন তথ্য দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন – আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই
বিশেষ দ্রব্যষ্ঠ – আশাকরি উপরোক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটার তথ্য যাচাই করা সরকার কর্তৃক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিংবা অপশনটা এখন আর নেই সুতরাং যদি আপনাদের জন্য কোন আপডেট পাই তাহলে তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার জন্য সর্বপ্রথম services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার ভোটার স্লিপ নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
আমরা যেহেতু ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করব সে করতে অবশ্যই আগে ভোটার নাম্বার বের করতে হবে। তো এখন প্রশ্ন হতে পারে ভোটার নাম্বার কোথায় পাব? আপনি ভোটার নাম্বারটা নির্বাচনের সময় নির্বাচন প্রার্থীর কাছে পেয়ে যাবেন আপনার ভোটার নাম্বার। সুতরাং সেখান থেকে কালেক্ট করুন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করে দেখুন আপনার ভোটার নাম্বারটা কি।
Time needed: 5 minutes
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার জন্য নিচে স্টেপ গুলো ফলো করুন
- ভোটার তথ্য পেয়ে যান
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার জন্য সর্বপ্রথম বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে সুতরাং এর জন্য এখানে ক্লিক করুন সুতরাং মেনুবার থেকে ভোটার তথ্য বাটনে ক্লিক করুন
- জাতীয় পরিচয় পত্র / ফরম নাম্বার বসান
ভোটার তথ্য পেজে যাওয়ার পরে আপনি খালি ঘর দেখতে পাবেন তার মধ্যে প্রথম ঘর অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র / ফরম নাম্বার এই ঘরের মধ্যে আপনার কাছে থাকা অ্যান্ড আইডি নাম্বার অথবা ফর্ম নাম্বার বসাতে হবে
- জন্ম তারিখ সিলেক্ট করুন
নিচে আরেকটি খালি ঘর দেখতে পাবেন সেখানে আপনার সঠিক জন্ম তারিখটি সিলেক্ট করতে হবে। অবশ্যই আপনার আইডি কার্ড করার সময় যেভাবে দিয়েছেন ঠিক সেভাবে
- ক্যাপচা পূরণ করুন
এখন আপনাকে একটা ক্যাপচা পূরণ করতে হবে এখানে ক্যাপচা বলতে একদম নিচে যে ঘরটা দেখতে পারবেন ঠিক তার উপরে একটা ঝাপসা ইমেজ এর মধ্যে সংখ্যা দেখতে পাবেন সেই সংখ্যাটা ঘরের মধ্যে বসাতে হবে।
আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে আপনার কাছে যদি ভোটার নাম্বার কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার জানা না থাকে তাহলে প্রথম ঘরের মধ্যে আপনার হাতে থাকা স্লিপ নাম্বার দিয়েও জাতীয় পরিচয় পত্র বের করতে পারবেন কিংবা ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা কিনা মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই। কিন্তু আদৌ কি শুধুমাত্র মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যায় এটাও জানে না অনেকেই। যদিও তার জন্য আমি আপনাদের সাথে স্পেসিফিক একটা আর্টিকেল শেয়ার করেছিলাম সেটা পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
তবে আপনি শুধুমাত্র মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে যে কারো ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, আপনি যদি নিজেই নিজের একটা মোবাইল নাম্বার দিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি দিয়ে একটা একাউন্ট খুলেন তাহলে হয়তো পরবর্তীতে সেটা লগইন করতে পারবেন মোবাইল নাম্বার দিয়ে।
দুর্ভাগ্যবশত জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনি শুধুমাত্র যে কারো মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করি জাতীয় পরিচয় পত্র বের করতে পারবেন না কিংবা ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন না। ভোটার আইডি কার্ড বের করার জন্য প্রয়োজন পড়বে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার কিংবা স্লিপ নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি।
নিবন্ধন স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে যাওয়ার পরে আপনার নিবন্ধন স্লিপ, সঠিক জন্ম তারিখ, ক্যাপচা পূরণ, ফেস ভেরিফিকেশন ইত্যাদি করে ফেললেই নিবন্ধন স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
তবে এটা বিশেষ কেউ নতুনদের ক্ষেত্রেই বেশি প্রয়োজন পড়ে কেননা যারা পুরাতন রয়েছেন তারা তো আগেই স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড বের করে নিয়েছেন। সুতরাং আপনি যদি নতুন হন এবং আপনার কাছে স্লিপ থাকে তাহলে মুহূর্তের মধ্যে এই পদ্ধতিতে অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার এনআইডি কার্ডটা অনলাইন থেকে কালেক্ট করতে পারবেন।
তবে আপনি নতুন হন কিংবা পুরাতন আপনাকে নিবন্ধন স্লিপটা খুব গুরুত্ব সহকারে যত্ন করে রাখা দরকার। হতে পারে যেকোনো সময় আপনার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে তখনই আপনি সেটা দিয়ে পূরণ করতে পারবেন। তবে হারিয়ে গেলে আপনাকে থানায় জিডি করাতে হবে।
nid নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা
আপনি কি জানেন এন আইডি নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা যায়? যদি না যান তাহলে আজকের এই নিবন্ধটা শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন যদি বিস্তারিতভাবে জানতে চান। তারপরও এখানে আমি সংক্ষিপ্ত আকারে আপনাদের সাথে এই বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করব।
নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন এবং আপনার এন আইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি দিয়ে একটা একাউন্ট করে ফেলুন। একাউন্ট করা শেষ হয়ে গেলে আপনি একাউন্টের প্রধান পাতা থেকে আইডি কার্ড বের করে নিন।
ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড
কে না চাই ঘরে বসে অনলাইন থেকে আইডি কার্ড ডাউনলোড না করতে? সবাই চায় ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ না করে নিজের ঘরে বসেই অনলাইনে নিজের স্মার্টফোন ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ভোটার আইডি কার্ড টা অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে।
কিন্তু কিভাবে সেটা অনেকেই জানে না তাই তাদের জন্য আমি একটা স্পেসিফিক আর্টিকেল তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। সুতরাং আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে আসতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন। আশা করি আর্টিকেলটা পরে আসলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন কেননা অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা খুবই সহজ একটা প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন ভোটার নাম্বার, জন্ম তারিখ ইত্যাদি সাবমিট করার পরেই আপনার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
দুর্ভোগে বসে তো আপনি শুধুমাত্র মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে যে কারো আইডি কার্ড বের করতে পারবেন না। এর জন্য প্রয়োজন পড়বে যার ভোটার আইডি কার্ড উনি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার / স্লিপ নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি