আমি কি জানেন অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন কিভাবে করতে হয়? যদি না জানেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকের আর্টিকেলে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি অনলাইনে নতুন বার্থ সার্টিফিকেট আবেদন করার নিয়ম, আবেদন করতে কি কি লাগে, আবেদন করতে কত টাকা লাগবে এইসব বিষয় সম্পর্কে।
আপনি যদি আপনার ছেলে-মেয়ের কিংবা ভাই-বোনের জন্ম নিবন্ধন করাতে চান তাহলে আজকের এই নিবন্ধনটা অনেক কাজে আসবে। কেননা মূলত আজকের এই নিবন্ধে আমি জানানোর চেষ্টা করেছি Jonmo Nibondhon Abedon সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়।
বাড়িতে বসে কিভাবে অনলাইনে নির্ভুলভাবে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আবেদন করবেন এই বিষয়টা দেখানো হলো। এ সমস্ত কাজগুলো অবশ্যই আমাদের নির্ভুল এবং নির্ভেজাল করতে হবে।
যদি আপনার দেওয়া তথ্যের মধ্যে কোন প্রকার ভুল হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে আমার সংশোধন করতে হবে। যার কারনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করাটা পুনরায় কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে, আগেকার সময় যেভাবে হাতের লেখা ফরমের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যেত সেটা এখন করা যায়।
আসলে মূলত তাই নয়, বরং আপনি যেখানেই করেন না কেন যেমন বাড়িতে বসে কিংবা সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভাতে যোগাযোগ করে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
এদিকে আপনি যদি বাড়িতে বসে করেন সে ক্ষেত্রে নিজেই অনলাইনে আবেদন করবেন। আর অন্যদিকে যদি ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা যান তারাও আপনার কাছ থেকে বিভিন্ন ইনফরমেশন নিয়ে অনলাইনে আবেদন করবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংকে ভিজিট করুন এবং আবেদনের ঠিকানা, নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি, জন্মস্থানের ঠিকানা, পিতা মাতার তথ্য, আবেদনকারীর তথ্য, মোবাইল নাম্বার, ডকুমেন্ট আপলোড করে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন।
কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে birth certificate application করতে হয় এই বিষয়টা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। তবে এই বিষয়টা সংক্ষিপ্তভাবে বুঝা যাই এরকম নয়।
স্টেপ বাই স্টেপ যেদিন আপনি বিস্তারিত জানতে চান কিভাবে কি করতে হবে এবং কি কি প্রয়োজন তাহলে অবশ্যই আজকের এই ব্লগটি আপনাকে পড়তে হবে।
বাচ্চা জন্ম নেয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ছেলে মেয়ে যত বড় হয়ে যাবে তত জন্ম নিবন্ধন করাতে ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে।
যদি ছোট থাকতে করিয়ে ফেলেন তাহলে লম্বা সময়ও লাগবে না আর কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্ম নিবন্ধন লাগলে সেটাও কাজে লাগাতে পারবেন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার ছেলে মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করিয়ে ফেলুন।
তবে তার জন্য নির্দিষ্ট একটা নিয়ম রয়েছে এবং নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস অবশ্যই আপলোড করতে হবে। প্রয়োজনে জিনিসগুলো নিয়ে যখন আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন তখন গ্রহণ করা হবে যদি সঠিক তথ্য প্রোভাইড করেন।
সবচেয়ে মজার বিষয়টা হচ্ছে, এখন যে কেউ চাইলে বাড়িতে বসেই জাস্ট ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে কিংবা তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই কাজটা করতে পারে।
তবে অনেকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে জানলেও জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইন আবেদনটা জানে না। কোন ওয়েবসাইটে যেতে হবে, কি কি ইনফরমেশন দিতে হবে এ সমস্ত বিষয়গুলো।
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, আমি এখানে খুব সহজ ভাষায় এবং সংক্ষিপ্ত আকারে বলে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আমার রেকমেন্ড থাকবে আপনারা যেন আজকের এই ব্লগটি শেষ পর্যন্ত পড়েন।
জন্ম নিবন্ধন কি?
জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে এমন একটি সরকারি কার্যক্রম যার মাধ্যমে শিশুর জন্ম তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়। যে বাচ্চাটা জন্ম নিয়েছে তার নাম জন্মতারিখ, লিঙ্গ, ঠিকানা ইত্যাদি নিবন্ধিত করা হয়।
এই ইনফরমেশন কালেক্ট করা দ্বারা যদি শিশুটি বাংলাদেশি হয় তাহলে সরকার কর্তৃক একটি জন্ম সনদ প্রদান করা হয় যার মাধ্যমে শিশুটি ভবিষ্যতে চাকরি, এনআইডি কিংবা শিক্ষা কার্যক্রম ইত্যাদিতে কাজে লাগাতে পারবে।
জন্ম নিবন্ধন কেন প্রয়োজন
আমাদের বিভিন্ন কারণে জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন সেটা বলাই বাহুল্য। বলতে গেলে অনেকগুলো প্রয়োজন এর কথা বলা যায় তবে এখানে বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় জিনিস উল্লেখ করা হলো-
লিস্ট * * *
নাগরিক সনদ পাওয়ার ক্ষেত্রে: আপনি বাংলাদেশের নাগরিক এটা প্রমাণ করবে নাগরিক সার্টিফিকেটের উপর। আর এই নাগরিক সনদ পেতে হলে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন থাকা লাগবে।
শিক্ষা কার্যক্রম: আপনার ছেলে-মেয়েকে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই বার্থ সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন আছে।
চাকরি: আপনি যদি কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের জব করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধন বা এন আইডি থাকা লাগবে। আপনার এনআইডি কার্ড থাকা মানে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন রয়েছে। এখন অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও লাগে বার্থ সার্টিফিকেট।
আইন এবং বিচার এর ক্ষেত্রে: আইন কিংবা বিচার অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের বার সার্টিফিকেটের প্রয়োজন রয়েছে যেমন সম্পত্তির নিবন্ধন, আইনগত প্রক্রিয়া ইত্যাদির জন্য।
ভোটার আইডি কার্ড করাতে: কোন বিষয়ে আমরা সকলেই জানি জাতীয় পরিচয়পত্র খুব প্রয়োজনীয় একটা নথি। আর ভোটার আইডি কার্ড করাতে সবচাইতে যে ডকুমেন্টসটা ভূমিকা পালন করে সেটা হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন।
এছাড়াও জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ব্যবহার করে সরকারী সুবিধার সনদ পেতে, সমাজের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, উপযুক্ত সামাজিক ও আর্থিক সহায়তা পেতেও লাগবে আপনার জন্ম নিবন্ধন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন করাতে লাগবে যে সব জিনিস
আমরা যদি এই জন্ম নিবন্ধন করাতে চাই অবশ্য আমাদেরকে নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে এবং কিছু প্রয়োজনীয় ডিটেলস দিতে হবে। সেগুলো কি কি সে নিচে দেওয়া হল –
list 1233জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম : আবেদন করার জন্য আপনি চাইলে অনলাইন থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে অফলাইনে পূরণ করতে পারেন। তবে আপনি যদি bdris ওয়েবসাইটে একেবারে ফরম পূরণ করে ডাউনলোড করেন সেক্ষেত্রে পূরণকৃত ফর্ম ডাউনলোড হবে।
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি: যার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতেছে তার নাম, জন্ম তারিখ এবং ঠিকানা ইত্যাদি প্রয়োজন পড়বে।
জন্মস্থানের ঠিকানা: শিশুটি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছে সেটা দিতে হবে যদি বিদেশে জন্মগ্রহণ করে তাহলে অবশ্যই কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেছে সেটা দিবেন।
ডকুমেন্টস: এখানে ডকুমেন্টস বলতে শিশুটির টিকা কার্ড এবং পিতার এন আইডি কার্ড ইত্যাদি। আবেদন করার সময় দেখবেন ডকুমেন্টস আপলোড করার একটা অপশন আছে সেখানে কি কি ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে দেখতে পারেন।
এছাড়াও আরো কয়েকটা জিনিসের প্রয়োজন পড়তে পারে সেটা আপনারা ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভায় যোগাযোগ করে জেনে নেবেন।
New birth certificate application process
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আপনাকে নিকটবর্তী নিবন্ধন কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে। নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন:
1. আবেদন ফরম কালেক্ট করুন: নিকটবর্তী নিবন্ধন কার্যালয় থেকে আপনাকে জন্ম সনদের জন্য আবেদন ফরম collect করতে হবে। আপনি ইন্টারনেট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারেন বা নিকটবর্তী নিবন্ধন কার্যালয়ে যাওয়ার পর ফরম পাওয়া যাবে।
2. ফরম পূরণ করুন: এখন আপনি যে ফর্মটা কালেক্ট করেছেন সেখানে বিভিন্ন ইনফরমেশন দিয়ে পূরণ করতে হবে। আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, ধর্ম, অভিভাবকের নাম ইত্যাদি। অবশ্যই আপনি যে তথ্যগুলো সাবমিট করেছেন সেগুলো ঠিক আছে কিনা পূনরায় যাচাই করবেন।
3. কাগজপত্র সংগ্রহ: এখানে আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে যেমন EPI ঠিকা কার্ড বা হাসপাতাল ছাড়পত্র, হোল্ডিং টেক্সট বা জমির খাজনা পরিশোধ এর রশিদ, মা বাবার এনআইডি এবং মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি।
4. সম্পূর্ণ আবেদন ফরম সাবমিট: আবেদন ফরম পূরণ করার পর সম্পূর্ণ আবেদন ফরমটি নিকটবর্তী নিবন্ধন কার্যালয়ে প্রদান করতে হবে।
5. ফি পরিশোধ: জন্ম নিবন্ধনের জন্য ফি পরিশোধ করতে হবে। আবেদন ফরমে উল্লেখিত ফি’র পরিমাণ এবং মাধ্যম অনুসারে ফি পরিশোধ করতে হবে।
সঠিক তথ্য এবং আবেদন প্রক্রিয়াটির জন্য স্থানীয় নিবন্ধন কার্যালয়ে অথবা সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পরিশোধ করতে পারেন।
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম
হয়তো আপনার এই পর্যন্ত যারা আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে করেছেন তারা জেনে গেছেন মূল প্রসেসটা কি রকম। তবে আপনারা যদি তার পরেও না বুঝেন তাহলে নিচের স্টেপ গুলো খুব ভালোভাবে ফলো করুন।
এখন আমি মূলত স্টেপ বাই স্টেপ শেয়ার করব যেটা কিনা ইন্টারনেটের মধ্যে খুব কমই পাওয়া যায়। সুতরাং যারা বার্থ সার্টিফিকেট অনলাইন আবেদন সম্পর্কে জানতে চাই তাদের জন্য খুব উপকারী একটা বিষয়।
১. জন্ম নিবন্ধন আবেদন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
আপনি যদি অনলাইনে মাধ্যমে নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটা ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে যেটা কিনা সরকার কর্তৃক পরিচালিত।
যেটা bdris ওয়েব সাইট নামে পরিচিত। এই ওয়েবসাইট থেকে জন্ম নিবন্ধন রিলেটেড বিভিন্ন কাজ করা যায়। তাই আপনি যেহেতু নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করবেন তাই অবশ্যই এই ওয়েবসাইটির সেই নির্দিষ্ট পেজে প্রবেশ করতে হবে।
ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার জন্য গুগল এ গিয়ে সার্চ করুন ‘নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন’ এবং সর্ব প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তাছাড়া সরাসরি আপনি https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংকটি ভিজিট করতে পারেন।
২. কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান সিলেক্ট করুন
এখন আপনার সামনে একটা ফেইস ওপেন হবে। যেখানে আপনি তিনটি অপশন দেখতে পাবেন জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা এখানে ডিফল্টভাবে জন্মস্থান সিলেক্ট করা থাকে।
আপনি কোন স্থান থেকে আবেদন করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন যদি জন্মস্থান থেকে করতে চান তাহলে সেটা সিলেক্ট করুন। আর যদি বর্তমান ঠিকানা এত ব্যাস্থায়ী ঠিকানা থেকে আবেদন করতে চান তাহলে সেখান থেকে কোন একটা সিলেক্ট করুন।
একদম নিচে আরেকটা একটা অপশন রয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস নামে। আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন তাহলে এই অপশনটা সিলেক্ট করবেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস সিলেক্ট করার পরে অবস্থানরত দেশের নাম এবং সিটি সিলেক্ট করবেন। তারপর বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিস দেখানো হবে। সেই অনুযায়ী গিয়ে আপনি জন্ম নিবন্ধন করিয়ে ফেলবেন।
এই স্টেপের সমস্ত কাজ কমপ্লিট করে একদম নিচে পরবর্তী নামে একটা বাটন দেখতে পাবেন। সেই বাটনে ক্লিক করে আপনি পরবর্তী স্টেপে চলে যান সেখানে কি করতে হবে জেনে নিন।
৩. প্রয়োজনীয় ডিটেলস সাবমিট করুন
এই স্টেপের মধ্যে মূলত আপনাকে আপনার নিজের ডিটেলস, আবেদনকারী ডিটেলস, ঠিকানা এবং মা-বাবার তথ্য ইত্যাদি দিতে হবে। কিভাবে কি করতে হবে নিচের স্টেপটা ফলো করুন।
লিস্ট ১২৩ **** নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি দিন: নামের প্রথম এবং শেষ অংশ বাংলায়, নামের প্রথম এবং শেষ অংশ ইংরেজিতে, জন্ম তারিখ, পিতা মাতার কততম সন্তান এবং লিঙ্গ সিলেক্ট করুন।
ঠিকানা দিন: আপনার হয়তো মনে আছে এর আগে কোথায় থেকে জন্ম নিবন্ধন করাবেন এটা সিলেক্ট করেছিলেন। সুতরাং আপনি যদি সেখানে জন্মস্থান সিলেট করেন তাহলে এখানে জন্মস্থানের তথ্য দিন এইভাবে দেশ, বিভাগ, ডাকঘর (বাংলা & ইংরেজি), গ্রাম / পাড়া / মহল্লা (বাংলা & ইংরেজি), বাসা ও সড়ক ( নাম, নম্বর ) (বাংলা & ইংরেজি) দিন এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
পিতার-মাতার তথ্য দিন: জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, নাম (বাংলা & ইংরেজি), জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার, জাতীয়তা দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
৪. ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা দিন
এখন আপনার সামনে একটা পেইজ ওপেন হবে যেখানে একটা কোনটিই নয় নামে বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।
কোনোটিই নয় বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সামনে নতুন আরেকটি ইন্টারফেস শো করবে। বলতো এখানে আপনারা স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানার ডিটেলস দিতে হবে।
এখানে আরেকটা অপশন দেখতে পাবেন ‘জন্মস্থানের ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা’ একই নামে। সুতরাং আপনার জন্মস্থান এবং স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয়ে থাকে তাহলে এখানে ঠিক মার্ক করুন।
এখন আপনার স্থায়ী ঠিকানা দিন দেশ, বিভাগ, ডাকঘর (বাংলা & ইংরেজি), গ্রাম /ছাড়া /মহল্লা (বাংলা & ইংরেজি), বাসা, সড়ক (নাম, নম্বর) (বাংলা এবং ইংরেজি) এভাবে আপনার স্থায়ী ঠিকানা দিন।
এখন যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা একই হয়ে থাকে তাহলে ‘স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই’ নামে যে অপশনটা রয়েছে সেটা সিলেক্ট করুন।
যদি একই না হয় নিচে যে বর্তমান ঠিকানা অপশন দেয়া আছে সেখানে স্থির ঠিকানায় যেভাবে পূরণ করেছেন সেভাবেই পূরণ করুন।
৫. আবেদনকারীর প্রত্যয়ন দিন
জন্ম নিবন্ধনের আবেদনকারী প্রত্যায়ন কিংবা ইনফরমেশন দিতে হবে। সাধারণত শিশুর জন্ম নিবন্ধন পিতা মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, আইন গত অভিভাবক। যার কারণে স্বাভাবিকভাবে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন তারাই করে তাকে।
তাছাড়া এখনো পর্যন্ত যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন না হয়ে থাকে এবং আপনি যদি আবেদন করেন সে ক্ষেত্রে নিজেরটা নিজে সিলেক্ট করবেন। আর যদি আপনি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করেন তাহলে শিশুটি আপনার কি হয় যেমন পিতা মাতা ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।
সিলেট করার পরে এখানে আবেদনকারীর নাম এবং মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। যদি ইমেইল আইডি থাকে তাহলে সেটাও দিতে পারবেন। তারপর একদম নিচে একটা পরবর্তী নামে বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।
৬. নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করুন এবং ফরম করুন
ফারুককে ইনফরমেশন এবং নিয়মিত মেনে যদি আপনি jonmo nibondhon online আবেদন করেছিলেন তাহলে আপনাকে আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করতে হবে। আপনিও প্রাপ্ত প্রসেস কমপ্লিট করেই প্রিন্ট করার অপশন পেয়ে যাবেন।
এখন আপনার আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে সেটা ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। অবশ্যই প্রিন্ট করার সময় যেন সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে দেখা যায় খেয়াল রাখবেন।
আরেকটা লক্ষ্য না বিষয় হচ্ছে, Print করার সময় More setting এ ক্লিক করে দেখুন headers and footer সঠিকভাবে ক্লিক করা আছে কিনা। যেন সবগুলো যেগুলো পূরণ করেছেন ভালোভাবে দেখা যায়।
এভাবেই আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন প্রসেস কমপ্লিট করতে হবে। প্রিন্ট করে যে ফর্মটা পূরণ করেছেন সেটা সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এড করে নিন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf
আপনারা অনেকেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করতে চান। তারা চাইলে এখানে ক্লিক করতে পারেন ফরম ডাউনলোড করার জন্য।
তবে আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে ইনফরমেশন যেগুলো দিবেন সেই অনুযায়ী আপনার ফরমটা ফিলাপ হয়ে যাবে। ডাউনলোড করার সময় পূরণ কৃত ফরম ডাউনলোড হবে আপনার দেওয়া ইনফরমেশন অনুযায়ী।