কোন বিষয় আপনার সকলে জানেন আমরা যখন জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদন করতাম তখন সেটা যেত নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে। তবে দ্রুত এই ক্ষমতাটা যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিকট একতা জানিয়েছে মন্ত্রী পরিষদের সচিব।
সোমবার অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় পরিচয় পত্র আইন ২০২৩ ‘খসড়া অনুমোদন পেয়েছে এই বিষয়টি। এ আইনের ফলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বা বাতিলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে বর্তমান ইসি বা নির্বাচন কমিশন।
যখন ২০২৩ এর এই আইনটি সংসদে পাশ করা হবে তখন থেকেই জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন বা বাতিলের ক্ষমতা পাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই আইটি পাশ হলে প্রতিটি ব্যক্তির নিবন্ধন নাম্বার হবে একটি অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার হবে একই।
এছাড়া আইনে আরো বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নিবন্ধক এর অফিসের মাধ্যমে এই সেবা কার্যকর হবে। প্রতিটি জেলা উপজেলায় থাকবে তাদের নির্দিষ্ট একটা অফিস যেখানেই করানো হবে জাতীয় পরিচয় পত্র।
নির্বাচন কমিশন কিংবা ইসি ১৮ বছরের বেশি বয়সের লোকদের ভোটার তালিকা করাবে।প্রধানমন্ত্রীর বরাবরের মতো মন্ত্রিসভার এই বৈঠকেই সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরো পড়ুন – ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন
পরে বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি জানান মন্ত্রী পরিষদের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন।তবে তিনি আরো বলেন এই আইনটি কবে থেকে কার্যকর হবে এ বিষয়ে তার কোন ধারণা নেই।
তাছাড়া প্রতিটি ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং এনআইডি নম্বর একই থাকুক এটা আমরা সকলেই চাই। তাছাড়া কোন একটা আইন তখনই কার্যকর হবে যখন সেটা সংসদে পাশ করা হবে।
তবে এই আইনের ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা রয়েছে অর্থাৎ সংসদে আইনটি পাশ হলেও এখন কার্যকর করা হবে না। সরকার যখন মনে করবে এবং সবগুলো ঠিকঠাক থাকলেই চালু হবে এই আইনটি।
এই আইনটি পাস করা হলে সন্তান জন্ম নেয়ার পর পরই নিবন্ধন করে ফেলতে পারবে। তবে তা অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেই করতে হবে।